এসএসসি-এইচএসসি: এমসিকিউ-এর ১০ নম্বর যাবে সৃজনশীলে

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশ থেকে ১০ নম্বর কমিয়ে তা সৃজনশীল অংশে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2015, 11:13 AM
Updated : 7 Oct 2015, 12:30 PM

বুধবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় ২০১৭ সাল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার সিদ্ধান্ত হয়। 

এছাড়া আগামী বছর অর্থাৎ, ২০১৬ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা থেকে প্রথমে এমসিকিউ এবং এরপর সৃজনশীল অংশের পরীক্ষা নেওয়া হবে।

এতদিন পরীক্ষার শুরুতে সৃজনশীল এবং এরপর এমসিকিউ অংশের উত্তর দিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার হলে ‘এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে’ পরিচালনার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

চলতিবছর মে মাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের সময় এমসিকিউ বাতিলের চিন্তার কথা বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ।

তিনি সেদিন বলেছিলেন, “অসৎ উপায়ে এমসিকিউতে ৪০ নম্বর পাওয়া সহজ হয়ে যাচ্ছে। আগামীতে এই পদ্ধতি রাখা হবে কি না তা নিয়ে শিক্ষাবিদসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এর ধারাবাহিকতায় পুরোপুরি বাতিল না হলেও এসএসসিতে দুই যুগ ধরে চলে আসা বহুনির্বাচনী প্রশ্নপদ্ধতিতে নম্বর কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।  

এখন যেসব বিষয়ে ৪০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৭ সালের পরীক্ষায় সেসব বিষয়ে ৩০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আর যেসব বিষয়ে এখন ৩৫ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়, তা কমে হবে ২৫ নম্বরের।

এই ১০ নম্বর যুক্ত হবে সৃজনশীল প্রশ্নের অংশে। অর্থাৎ, সৃজনশীল অংশের নম্বর আনুপাতিক হারে বেড়ে যাবে।

সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতির ত্রুটি বিচ্যুতি পরিহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের সময় বাড়ানো এবং ‘প্রাইভেট বা কোচিংকে’ নিরুৎসাহিত করার জন্য ‘আরও উন্নত পরীক্ষা পদ্ধতি’ খুঁজে বের করা প্রয়োজন।

সেইসঙ্গে পরীক্ষার্থীদের মান পরিমাপের বিষয়টি যথার্থভাবে কীভাবে করা যায়, তেমন একটি পরীক্ষা পদ্ধতি খোঁজার তাগিদ দেন তিনি।

“পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের এ আলোচনা একেবারেই প্রাথমিক ও ‘ব্রেইন স্টর্মিং’ পর্যায়ে রয়েছে। ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা, সেমিনার, কর্মশালার আয়োজন করে সবার মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।”

প্রশ্নফাঁস এড়াতে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র মুদ্রণ ও প্যাকেটজাত করার ক্ষেত্রে গোপনীয়তা নিশ্চিত করার জন্য বিজিপ্রেসকে সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনার বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়।

এছাড়া জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় দিনের সংখ্যা ও সময়সীমা কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যান, রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্কুল ও কলেজের প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার বিষয়ে এই সভায় অংশ নেন।