বুধবার বেলা ১১টায় ফিলিপনগর হাইস্কুল মাঠে জানাজা শেষে বাড়িতে খানকা শরীফ সংলগ্ন বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
সকাল সাড়ে ৭টায় মরদেহ বাড়ি পৌঁছালে শোকার্তদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় ফিলিপনগর হাইস্কুল মাঠে মরদেহ নেওয়া হলে কয়েকহাজার ভক্ত ও এলাকাবাসী তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান।
ওই সময় সেখানে নিহতের আত্মার শান্তি কামনা করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী, সাবেক সাংসদ আফাজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক মন্ত্রী কোরবান আলী প্রমুখ।
আত্মীয় পরিজন, ভক্ত-অনুসারী ও এলাকাবাসী এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে স্লোগান দেন।
নিহত খিজির খানের ভাই ইলিয়াস খান সরকারের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ফিলিপনগরের পীর হাবিব রহমত উল্লাহর ছেলে খিজির খান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সাবেক চেয়ারম্যান।
বাবা মারা যাওয়ার পর রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় নিজের বাড়িতে খানকা শরীফ গড়ে তুলে মাহফিল করতেন অবসরপ্রাপ্ত এই সরকারি কর্মকর্তা। তাকেও পীর মানতেন তার বাবার অনেক মুরিদ।
সোমবার সন্ধ্যায় সেই খানকা শরীফেই একদল দুর্বৃত্ত গলা কেটে হত্যা করে খিজির খানকে। ছয় তলা বাড়ির তৃতীয় তলায় পরিবারের সবাইকে বেঁধে তাকে আনা হয়েছিল দোতলার খানকা শরীফে।
ওই ঘটনায় খিজির খানের ছোট ছেলে আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।