আবেদনের পক্ষে ‘যুক্তিগ্রাহ্য কারণ’ না পাওয়ায় বুধবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের অবকাশকালীন বেঞ্চ আবেদনটি ফিরিয়ে দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়ার পাশাপাশি মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে রুল চেয়ে বদি আবেদনটি করেছিলেন গত মাসে।
আদালতে তার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আব্দুল বাসেত মজুমদার, প্রবীর হালদার ও সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির।
বদির আরেক আইনজীবী প্রবীর হালদার বলেন, “আমরা রুল চেয়েছিলাম, আদালত ‘এর পক্ষে যুক্তগ্রাহ্য কারণ নেই’ মনে করে আবেদনটি ফেরত দিয়েছেন। এখন অন্য আদালতে আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।”
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালত সাংসদ বদির আবেদন ফেরত দেওয়ায় এখন মামলা পরিচালনায় আইনগত কোনো বাধা নেই।”
আগামী ২৭ অক্টোবর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ১ অক্টোবর মামলাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বদির আইনজীবীদের করা রিট খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট।
কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য বদির বিরুদ্ধে মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলছে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে। গত ৮ সেপ্টেম্বর আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে দেয়া সম্পদের তথ্য বিবরণীতে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছিলেন বদি।
অনুসন্ধানে এ অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ পাওয়ায় গতবছরের ২১ অগাস্ট দুদকের উপপরিচালক আব্দুস সোবহান ঢাকার রমনা থানায় এই মামলা করেন।