বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারীরা মিছিল করে বেলা সোয়া ১২টার দিকে শাহবাগে আসে।
এরপর তারা মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে মৎস্যভবন থেকে এলিফেন্ট রোড এবং বাংলামোটর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়মুখী দুই সড়কেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কিছু বাম ছাত্র সংগঠন এদের সমর্থন দিচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি, যাতে মানুষের ভোগান্তি না হয়।”
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরাও তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে শহীদ মিনারের বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ক্লাস বর্জন করে তারা আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।”
তবে নির্ধারিত পরীক্ষা সূচি অনুযায়ীই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী।
প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর হওয়া মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল, নতুন করে পরীক্ষা নেয়া এবং প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বুধবার সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধর্মঘট ডেকেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য।
জোট দুটির নেতাকর্মীরা সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, কলাভবন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও ব্যবসায় অনুষদের ফটকে তালা লাগিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিলে পরে প্রক্টর এসে তালা ভেঙে দেন।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাবিব রুমন, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি এম জিলানী শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনার বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার, ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক তুহিন কান্তি দাশ, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেল, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক এম এম পারভেজ লেনিন, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সদস্য রিয়াল চাকমা, ছাত্র গণ মঞ্চের বিলাস মাহমুদ ও বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য এ সময় বক্তব্য দেন।