বিশ্বের ৮০টি দেশে সমীক্ষা চালিয়ে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে কেবল ইরাক।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতাল ও সেবাকেন্দ্রে প্রশমনসেবা পাওয়ার সুযোগ, সেবার মান, সেবাদানকারীদের দক্ষতা এবং সেবা গ্রহণের সক্ষমতা- এই সূচকগুলোর ভিত্তিতে এই তালিকা করেছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।
আর সবক্ষেত্রেই বাংলাদেশ অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে।
১৪ দশমিক ১ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ৭৯তম অবস্থানে হয়েছে বাংলাদেশ; সবার নিচে থাকা ইরাকের পয়েন্ট ১২ দশমিক ৫।
মৃত্যুকালীন সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে ব্রিটেন; সমীক্ষায় ইউরোপের এই ধনী দেশটির পয়েন্ট ৯৩ দশমিক ৯।
শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলো হল- অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, তাইওয়ান, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স।
প্যালিয়েটিভ কেয়ারের অঞ্চলভিত্তিক তালিকাতেও এশিয়া-প্রশান্তমহাসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে।
এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও হংকং।
২৬.৮ পয়েন্ট নিয়ে এই তালিকায় প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ৬৭ নম্বরে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা শ্রীলঙ্কা ২৭.১ পযেন্ট নিয়ে আছে ৬৫ নম্বর অবস্থানে।
এমনকি ১৭.১ পয়েন্ট নিয়ে মিয়ানমারও বাংলাদেশের সামনে, ৭৬ নম্বরে রয়েছে। পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপের পরিস্থিতি এ সমীক্ষায় আসেনি।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, মৃত্যুকালীন প্রশমনসেবায় এগিয়ে থাকা দেশগুলোয় মাথাপিছু আয়ও বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক দেশে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হৃদরোগ ও ক্যান্সারের মতো রোগ। এসব রোগীর মৃত্যুকালীন সেবা নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জও বেড়েছে।
প্রশমনসেবায় কিছু দেশ এগিয়ে থাকলেও ‘আরও অনেক কিছু করার’ বাকি আছে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, শীর্ষে থাকা অনেক দেশই তাদের সব নাগরিকের জন্য এ সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।