খুনি ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে: আইজিপি

ইতালি ও জাপানের দুই নাগরিককে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক জানিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2015, 06:09 PM
Updated : 6 Oct 2015, 06:09 PM

দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার পুলিশ সদরদপ্তরে ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “পুলিশ তার সাধ্যমত এই দুই হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”

গত ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের কূটনীতিকপাড়ায় চেজারে তাভেল্লা নামের এক ইতালীয় এনজিওকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর পাঁচ দিনের মাথায় রংপুরের এক গ্রামে একই কায়দায় খুন হন জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি।

কুনিও হত্যায় জড়িত সন্দেহে রংপুরের এক বিএনপি নেতাসহ দুজন গ্রেপ্তার হলেও তাভেল্লা হত্যাকাণ্ডে এখনও কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ।

দুটি হত্যাকাণ্ডের পরই মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এর দায় স্বীকার করে বলে খবর দেয় জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ‘সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ’। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে বাংলাদেশে জঙ্গি উত্থানের সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। 

তবে কেউ ব্যক্তিগতভাবে মতাদর্শে বিশ্বাসী হলেও বাংলাদেশে আইএস’র কোনো সাংগঠনিক অস্তিত্ব নেই বলে আইজিপি বৈঠকে বলেছেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (সিআইডি) শেখ হিমায়েত হোসেন, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. মোখলেসুর রহমান, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত আইজিপি মো. মইনুর রহমান চৌধুরী ও মো. আবুল কাশেম এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, “অতীতে বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গিবাদ, চরমপন্থি, নাশকতাকারী এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাফল্য দেখিয়েছে। সেই সাফল্য ধরে রাখতে হবে। কোনোভাবেই এ দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হতে দেওয়া হবে না।

“আমাদের দেশকে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হবে। দেশে জেএমবি, হুজিসহ বিভিন্ন নামে জঙ্গিবাদের উত্থান যাতে না ঘটে সেজন্য  সকলকে সর্তক ও সজাগ থাকতে হবে।”

দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে পুলিশের অপর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতাদের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আইজিপি বলেন, “প্রতিমা তৈরি, পূজা উদ্যাপন এবং প্রতিমা বিসর্জনসহ দুর্গাপূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক ও সজাগ থেকে দায়িত্ব পালন করবেন।

“দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে কোনো মহল যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে। এ বছর রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে প্রায় ২৮ হাজারের বেশি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে।