জাপানি হত্যা: বিএনপি নেতাসহ ২ জন রিমান্ডে

রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকও রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2015, 08:27 AM
Updated : 6 Oct 2015, 04:29 PM

এই দুজন হলেন- স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিবুন নবী খান সোহেলের ছোট ভাই রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য রাশেদুন নবী খান বিপ্লব এবং কুনিওর বাড়িওয়ালা জাকারিয়া বালার শ্যালক হীরা (৪৮)।

গত ৩ অক্টোবর হত্যাকাণ্ডের দিনই মোট ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল পুলিশ।

রাশেদুন নবী খান বিপ্লব

এর তিনদিন পর মঙ্গলবার সকালে বিপ্লব ও হীরাকে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।

শুনানি শেষে এ আদালতের বিচারক আবু তালেব দশ দিনের হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেন বলে কাউনিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে আমরা হত্যাকাণ্ডে এই দুজনের সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক তথ্য পেয়েছি। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হয়তো আরও তথ্য পাওয়া যাবে।” 

গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি মহিষওয়ালা মোড়ে ৬৬ বছর বয়সী ওই জাপানিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনজন মুখোশধারী তাকে গুলি করে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায় বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য।

চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশে আসার পর রংপুর শহরের মুন্সীপাড়ায় জাকারিয়া বালার বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করেন কুনিও হোশি। সেখানে তিনি জমি ইজারা নিয়ে ঘাসের চাষ করছিলেন।

হুমায়ুন কবীর হীরা

হত্যাকাণ্ডের দিন পুলিশ বিপ্লব ও হীরা ছাড়াও রংপুর মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান লাকু, বাড়িওয়ালা জাকারিয়া (৫৮), স্থানীয় রিকশাচালক মোন্নাফ আলী ও আলুটারি গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে মুরাদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে কাউনিয়া থানায় একটি
করে পুলিশ।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানে ইতালীয় নাগরিক চেজারে তাভেল্লা হত্যার মতই কুনিও হোশি হত্যাকাণ্ডের পর মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস দায় স্বীকার করেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর এলেও এর কোনো ভিত্তি পাওয়া যায়নি বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।