কলেজ সভাপতির পদ হারালেন সাংসদ লিটন ও হান্নান

শিশুকে গুলি করার ঘটনায় গাইবান্ধার সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার ময়মনসিংহের সাংসদ এম এ হান্নানকে কলেজ গভর্নিং বডি থেকে প্রত্যাহার করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2015, 01:31 PM
Updated : 5 Oct 2015, 01:31 PM

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক মো. ফয়জুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

ফয়জুল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধির ৬ নম্বর ধারা মোতাবেক গাইবান্ধার ধুবনী কঞ্চিবাড়ী কলেজ, সুন্দরগঞ্জ মহিলা কলেজ ও সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির পদ থেকে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন এবং ত্রিশালের কবি নজরুল কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদ থেকে এম এ হান্নানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট কলেজে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার  সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হান্নান ও তার ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরোয়ানা জারির পর ওইদিনই দুপুরে ঢাকার গুলশানের বাড়ি থেকে ময়মনসিংহ-৭ আসনের (ত্রিশাল) সংসদ সদস্য এম এ হান্নানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

৮০ বছর বয়সী হান্নান জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।

গত শুক্রবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের ছোড়া গুলিতে নয় বছর বয়সী এক শিশু আহত হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এর প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে সাংসদের ব্যবহৃত অস্ত্র থানায় জমা হওযার পর তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে আহত শিশুর বাবা সাজু মিয়া।

রোববার এই সাংসদের অস্ত্রের লাইসেন্সও বাতিল করে জেলা প্রশাসন।

মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।