হান্নান ছাড়া বাকি চার আসামি হচ্ছেন- তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ, ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির (৬৬), মিজানুর রহমান মিন্টু (৬০) ও হরমুজ আলী (৭০) । হরমুজ আলী অসুস্থ থাকায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রিজন সেলে আছেন।
হরমুজ ছাড়া চারজনকে রোববার দুপুরের পর বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার পর আদালত গ্রেপ্তারদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
গত বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনাল হান্নান ও তার ছেলেসহ মোট আট আসামির বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করলে ঢাকায় হান্নান ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয় । বাকি তিনজনকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৮০ বছর বয়সী হান্নান ময়মনসিংহ-৭ আসনের (ত্রিশাল) সংসদ সদস্য। তিনি জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীরও সদস্য।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচারে এর আগে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল জব্বার এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ কায়সারের সাজা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ৯ অগাস্ট ময়মনসিংহ জেলা শান্তি কমিটির সাধারণ সম্পাদক হান্নান তার সহযোগী রাজাকারদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানকে গৌরীপুরের ভাংনামারীর চর থেকে ধরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টর্চার সেলে’ নিয়ে দুই চোখ উপড়ে এবং ডান হাত ভেঙে ফেলার পর হত্যা করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।