ছাত্রদল নেতার পিটুনি যুবদল নেতাকে

বরগুনায় জেলা ছাত্রদলের এক নেতাকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবদল নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

বরগুনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Oct 2015, 12:31 PM
Updated : 4 Oct 2015, 12:31 PM

শনিবার রাতে জেলা শহরের কাঠপট্টি এলাকায় মুরাদুজ্জামান টিপনের উপর লোকজন নিয়ে হামলা চালান তালিমুল ইসলাম পলাশ।

টিপনকে বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তালিমুল ইসলাম পলাশ বরগুনা জেলা যুবদলের সভাপতি এবং মুরাদুজ্জামান টিপন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।

টিপনের বড় ভাই মুনিরুজ্জামান স্বপন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মুরাদুজ্জামানকে তারা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে।

একই সময় কাঠপট্টি এলাকায় অবস্থিত তাদের ‘পন্ড অ্যান্ড স্যান্ড’ নামের রড-সিমেন্টের দোকানে ভাঙচুর করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।

হামলার কারণ সম্পর্কে বরগুনা সদর হাসপাতালে থাকার সময় মুরাদুজ্জামান টিপন বলেন, “তালিমুল আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে অনুরোধ করলেও তিনি তা পরিশোধ করেননি।

“এ বিষয়ে আমি তার সিনিয়র নেতাদের কাছে অভিযোগ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে পলাশ এবং তার সহযোগী মিজান ও সোহাগসহ চার-পাঁচ জনের একটি দল হামলা চালায়।”

তালিমুল ইসলাম পলাশ বলেন, “টিপনের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নিয়ে সোয়া লাখ টাকা শোধ করেছি। বাকি টাকার জন্য তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করায় তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।”

তুচ্ছ বিষয়কে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অনেক বড় করে সাজানোর অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

বরগুনা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার কামরুল ইসলাম বলেন, টিপনের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বরগুনা থানার ওসি রিয়াজ হোসেন জানান, তালিমুল ইসলাম পলাশ একাধিক মামলার আসামি। হামলার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই তারা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে।

এ ঘটনায় এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে ওসি বলেন, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।