ষাটোর্ধ্ব বলা হলেও এতে অংশ নেওয়াদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সতরোর্ধ্ব ও অশীতিপরও রয়েছেন।
শনিবার বিকাল ৪টা থেকে এক ঘণ্টার ব্যতিক্রমী এ ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে সদর উপজেলার দক্ষিণ মকসুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।
উৎসবমুখর এ ম্যাচে কয়েক হাজার দর্শকের মধ্যে খেলোয়াড়দের ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী, পুত্রবধূ, নাতি-নাতনিরাও ছিলেন।
বয়সের কারণে খেলা কিছুটা এলোমেলো হলেও বার্ধক্যকে জয় করে পুরো এক ঘণ্টা খেলেছেন তারা। শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য প্রাণপণে খেলেছেন এই বৃদ্ধরা।
রেফারি নুরুল ইসলামকে ফাউলের কারণে অন্তত বিশ বার বাঁশি বাজাতে হয়েছে।
স্থানীয় প্রভাতি সংসদ আয়োজিত এ ম্যাচে কালো দল ৩ - ১ গোলে সাদা দলকে পরাজিত করেছে।
সাদা দলের একমাত্র গোলটি করেন সুরুজ মিয়া। আর কালো দলের আব্দুল আলী দুটি এবং আব্দুল কাদের এক গোল করেন।
খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি ক্বারী শামসুদ্দিন আহমেদ।
প্রভাতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জেলা বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় লতিবাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্যোক্তা প্রভাতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাহাব উদ্দিন পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বলেন, তার দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ছিল এ ধরনের একটি আয়োজনের মাধ্যমে প্রবীণদের সম্মানিত করার পাশাপাশি তরুণদের খেলার মাঠে ফিরিয়ে আনতে উদ্বুদ্ধ করা।
খেলা শেষে কালো দলের অধিনায়ক কিশোরগঞ্জ সরকারি গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও জিএস পারভেজ মোস্তফা কামাল বলেন, “দীর্ঘ ত্রিশ বছর পর আজ মাঠে নেমে যে আনন্দ পেয়েছি তা বলে বোঝানোর মতো নয়। হয়ত আমি এবং আরো অনেকেই বাকি জীবনে এ ধরনের সুযোগ নাও পেতে পারি।”
তাই সুযোগ পেলে সবাইকে আবার মাঠে নামার আহ্বান জানান তিনি।
সবচেয়ে বেশি বয়স্ক খেলোয়াড়দের কয়েকজন হলেন কালো দলের আয়ুব আলী (৮৬), তোতা মিয়া (৮৩), আব্দুল খালেক (৮০), আব্দুল আহাদ (৭৭), সাদা দলের মনসুর আলী (৮২), নাসির উদ্দিন (৭৬) ও গিয়াস উদ্দিন (৭০)।