তাভেল্লার মরদেহ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি

ময়না তদন্তের পর ইতালীয় নাগরিক চেজারে তাভেল্লার মরদেহ ঢাকায় দেশটির দূতাবাসে বুঝিয়ে দিতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তবে মরদেহ হস্তান্তরের জন্য এখনো সময় ঠিক করা সম্ভব হয়নি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Oct 2015, 05:19 AM
Updated : 4 Oct 2015, 05:47 AM

গত ২৮ সেপ্টেম্বর তাভেল্লা খুন হওয়ার পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মরদেহের ময়না তদন্ত হয়। মরদেহ এখনো সেখানেই রয়েছে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে ইতালীয় নাগরিক চেজারে তাভেল্লাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

তিনি আইসিসিও কো-অপারেশন নামে একটি সংস্থার প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচ্যুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, “বৃহস্পতিবার ইতালি অ্যাম্বাসি থেকে ফোন করে জানতে চাওয়া হয়েছিল তাদের নাগরিকের মরদেহ  মর্গে আছে কিনা। হ্যাঁ বলার পর তারা আর কোনো যোগাযোগ করেনি।”

লাশ হস্তান্তরের বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে ইতালীয় দূতাবাসের আলোচনা চলছে জানিয়ে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মোস্তাক আহমেদ বলেন, “মরদেহ হস্তান্তরের জন্য আনুষ্ঠানিক কোনো সময় এখনো ঠিক হয়নি।”

এদিকে ঘটনার এক সপ্তাহ পরও তাভেল্লার খুনিদের সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পায়নি পুলিশ।

তদন্তে জড়িত পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, তাভেল্লাকে কারা, কেন হত্যা করেছে তা বের করার চেষ্টা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। খুনিরা কোন পথে পালিয়েছে সেটিরও সন্ধান করা হচ্ছে।

তবে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত দলের প্রধান যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তৃতীয় কোনো পক্ষ এই হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা গোয়েন্দারা তাও খতিয়ে দেখবে।

তাভেল্লা হত্যার পর গুলশান এলাকায় নিরাপত্তায় কড়াকড়ি চলছে।

উপ কমিশনার মোস্তাক আহমেদ বলেন, “কূটনৈতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুলশানে বাড়তি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারও কাজ করছেন। পুরো এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।

“সড়কের যেসব জায়গা আগে অন্ধকার ছিল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ওই জায়গাগুলোতে বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

রাত ১০টার পর কাকলি থেকে গুলশান-২ যাওয়ার রাস্তাটি একমূখী করা হয়েছে, হাতিরঝিল ও বাড্ডা নতুন রাস্তা দিয়ে গুলশানে ঢোকার পথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।

এছাড়া চলাচলকারী  মোটরসাইকেলও তল্লাসি করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

পুলিশের ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আতাউল কিবরিয়া বলেন, “আমরা নিয়মিত কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছি। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক অবস্থানে আছি।”

কোনো কূটনীতিকের কাছ থেকে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।