শনিবার সকালে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি গ্রামে মুখোশধারীদের গুলিতে নিহত হন কুনিও, যিনি ওই এলাকায় একটি জমি ইজারা নিয়ে ঘাসের খামার করছিলেন।
রাত ১০টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কুনিও হোশির বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। তিনি অত্যন্ত বাঙালিবান্ধব ছিলেন। গ্রামের মানুষের সঙ্গে মিলে মিশে চলতেন। নিরেট ভদ্রলোক। তাকে এভাবে কেউ হত্যা করতে পারে না।”
ঢাকায় ইতালির নাগরিক হত্যা আর রংপুরে জাপানি নাগরিককে হত্যার উদ্দেশ্য একই মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দেশকে অস্থিতিশীল করতে এমনটি করা হচ্ছে।”
সোমবার ঢাকার গুলশানে ইতালির নাগরিক চেজারে তাভেল্লাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
ওই হত্যাকাণ্ডের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সারা দেশের পুলিশ সুপারদের বিদেশি নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানে নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশ এবং থানার ওসিদের বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়।
রংপুর শহরের মুন্সীপাড়ার স্থানীয় একটি পরিবারের দুই ভাই জাপানে থাকেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে কুনিও কাউনিয়ার আলুটারি গ্রামে একটি ঘাসের খামার করছিলেন।
সেখানে যাওয়ার পথে বেলা ১১টার কিছুক্ষণ আগে তিনি খুন হন।
কাউনিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুর্বৃত্তরা মটরসাইকেলে এসে তাকে তিনটি গুলি করে। একটি গুলি তার বুকে, একটি ডান হাতে এবং আরেকটি কাঁধে বিদ্ধ হয়।”
ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক তাভেল্লাও হাঁটার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। সেক্ষেত্রেও খুনিরা মটরসাইকেলে এসেছিল বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।