এক শিশুর পায়ে গুলি করার অভিযোগ ওঠার পর থেকে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সভাপতিকে পাওয়া যাচ্ছে না।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ থানায় সাংসদের পক্ষে তার স্ত্রীর বড় ভাই তারিকুল ইসলাম অস্ত্র জমা দেন বলে জানিয়েছেন ওসি ইসমাইল হোসেন।
জমা দেওয়া অস্ত্র গুলোর মধ্যে রয়েছে, একটি পিস্তল, একটি শটগান, তিন রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ৫০ রাউন্ড শটগানের গুলি।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, সাংসদ তার এক স্বজনের মাধ্যমে অস্ত্র জমা দিলেও তিনি কোথায় আছেন তা পুলিশ জানে না।
“এখনও মামলা হয়নি, মামলা হলেই তাকে খোঁজা হবে।”
এর আগে দুপুরে সাংসদের ব্যবহার করা অস্ত্র দুটি অস্ত্র ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার কথা জানান গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম।
আট বছরের শিশু সৌরভের দুই পায়ে গুলির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এমপি লিটনের নিরাপত্তার জন্য একটি পিস্তুল ও একটি শটগান ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি অস্ত্র দুটি বিভিন্ন অপকর্ম ও অনৈতিক কাজে ব্যবহার করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
“এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অহেতুক পিস্তল ও শটগানের গুলি ছুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার একাধিক অভিযোগ পুলিশের কাছে রয়েছে।”
শুক্রবার ভোরে উপজেলা শহরের ব্র্যাক মোড়ের গোপালচরণ এলাকায় কালাইয়ের ব্রিজের কাছে সাংসদ লিটনের ছোড়া গুলিতে শাহাদাত হোসেন সৌরভ (৮) নামে এক শিশু দুইপায়ে গুলিবিদ্ধ হয়।
সাংসদ লিটন এলোপাতাড়ি পরপর পাঁচ রাউন্ড গুলি ছুড়লে দুটি গুলি সৌরভের দুই পায়ে বিদ্ধ হয় এবং একটি গুলি পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তাজুল ইসলাম নামে আরেক ব্যক্তির পরনের কাপড় ভেদ করে বেরিয়ে যায়।