‘অদম্য বাংলাদেশ’ নামে সংগঠনের আরিফুর রহমান, জাকিরা সুলতানা, ফিরোজ আলম খান ও হাসিবুল হাসানের পক্ষে জামিন চেয়ে বুধবার ঢাকার আদালতে জামিনের আবেদন হয়েছিল।
শুনানি শেষে রোববার মহানগর হাকিম অমিত কুমার দে সে আবেদন নাকচ করায় ওই চারজনকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে, যাদের নির্দোষ দাবি করে ইতোমধ্যে ফেইসবুকে সরব অনেকে।
শুনানিতে ওই চারজনের আইনজীবী মলয় কুমার সাহা বলেন, “সেবার উদ্দেশ্য নিয়েই অভিযুক্তরা ওই শিশুদের লালন-পালন ও পড়াশুনা করাচ্ছিল। পাচারের উদ্দেশ্য থাকলে তাদের কাছ থেকে পাসপোর্ট পাওয়া যেত্।”
আইনজীবী ওই শিশুদের নিয়ে ‘অদম্য বাংলাদেশ’ এর বনভোজনের ছবি, ই- মেইল প্রশিক্ষণের কাগজপত্র আদালতে দাখিল করেন।
জামিনের বিরোধিতা করে বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট আদালতের পুলিশ কর্মকর্তা পরিদর্শক হাবিবুর রহমান।
গত ১২ সেপ্টেম্বর শিশু পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর গত বুধবার তাদের আদালতে নেওয়া হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আলোচিত এ ঘটনায় রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একজন সাক্ষী ১৬৪ ধারায় ঘটনার বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছন। তার নাম তাওসিফ আহমেদ। তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।
ওই চারজনকে নির্দোষ দাবি করে ফেইসবুকে আলোচনা এবং রাজপথে মানববন্ধনের বিষয়ে পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কশিমনার মিরাশ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অদম্য বাংলাদেশ সংগঠনটির যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন নেই, নেই এনজিও ব্যুরোর কোনো ছাড়পত্র বা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কোনো সনদ।
“অভিযুক্তরা শিক্ষিত, লেখাপড়া জানা নাগরিক। অথচ আইন জানেন না। আইন না জানা আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনো যুক্তি নয়।”