শান্তি রক্ষা বাহিনীতে ‘গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব’ পাচ্ছে বাংলাদেশ

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে নেতৃত্বের পর্যায়ে বাংলাদেশকে আরও স্থান দিতে বিশ্ব সংস্থাটি তৈরি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2015, 05:07 PM
Updated : 15 Sept 2015, 05:07 PM

শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অতুল খের একথা জানিয়েছেন।

তিন দিনের ঢাকা সফরের পর মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অফ ফিল্ড সাপোর্টের (ডিএফএস) প্রধান।

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে অতুল খের বলেন, “আমরা মালির পূর্ব সেক্টর পরিচালনার জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছি।”

সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশ হিসেবে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা মিশনে পরিকল্পনায় ভূমিকা দাবি করে আসছে।

সংবাদ সম্মেলনে এই জাতিসংঘ কর্মকর্তা বলেন, “কমান্ডিং বা ডেপুটি কমান্ডিং সেক্টরে বাংলাদেশ থেকে আমাদের তিনজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রয়েছে। এরপর মিশনের ঊর্ধ্বতন পদে বাংলাদেশের আরও লোক নেওয়া হতে পারে।”

তবে এক্ষেত্রে ভাষাগত একটি সমস্যার কথাও তুলে ধরেন অতুল খের।

গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের প্রশিক্ষণ একাডেমিতে ভাষাগত দক্ষতা বাড়ানোর উপর জোর দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেয়েছেন তিনি।

“আশা করি, ভবিষ্যতে আমরা উচ্চপদে আরও অনেক বেশি বাংলাদেশি মানুষ নিতে পারব।”

জাতিসংঘের ১০টি আলাদা মিশনে বাংলাদেশি সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের সাড়ে নয় হাজার সদস্য কাজ করছেন। বাংলাদেশ শান্তি মিশনে সর্বোচ্চ সদস্য পাঠানোর দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে।

কঠিন, দুর্গম ও অনিরাপদ স্থানে দায়িত্ব দেওয়া হলেও বাংলাদেশি সেনারা ‘বলার চেয়ে বেশি ভালো’ করেছেন মন্তব্য করে অতুল খের বলেন, “এ কারণে বাংলাদেশের মানুষ ও নেতাদের ধন্যবাদ জানাতে আমি দায়িত্ব পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশে এসেছি।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে জাতিসংঘ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা মিশনে বিশ্বের মধ্যে একটি ‘ব্র্যান্ড নেম’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের উন্নয়নে গত বছর কতগুলো কার্যকর পরামর্শ দিয়েছিলেন জানিয়ে অতুল খের বলেন, তিনি সেই পরামর্শগুলো বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করেছেন।