ভ্যাটবিরোধী অবরোধ: ঢাকার ট্রাফিক পরিস্থিতি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাটবিরোধী আন্দোলনে রোববার ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। সোমবার আবারও একই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীরা সরে গেলে বিকাল ৫টার পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2015, 09:19 AM
Updated : 13 Sept 2015, 05:13 PM

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদকদের পাঠানো তথ্যে পাওয়া গেছে নগরীর এ চিত্র। 

# উত্তরার আবদুল্লাহপুর, হাউজ বিল্ডিং ও বনানীর কাকলিতে শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে সকাল ১১টার পর থেকে বিমানবন্দর সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়।

বিকাল পৌনে ৫টার দিকে অবরোধ তুলে নিয়ে সরে যায় শিক্ষার্থীরা।

# অবরোধ শুরুর পর কাকলি থেকে মহাখালী হয়ে জাহাঙ্গীর গেইটের পথে গণপরিবহনের উপস্থিতি কমে যায়। ফলে এই পথে বহু মানুষকে পায়ে হেঁটে এগোতে দেখা যায়।

উত্তরা ও কাকলির অবরোধ উঠে যাওয়ার পর বিমানবন্দর সড়ক হয়ে মহাখালীতে গণপরিবহনের চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।

# দুপুরে সাতরাস্তা থেকে মহাখালী হয়ে কাকলির দিকে যাওয়ার রাস্তায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। ওই সড়কে সন্ধ্যার দিকেও যানজট ছিল।

তবে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা অন্য দিনের মাত্রায় নেমে আসতে দেখা যায়।

# মেরুল ও রামপুরা ব্রিজে শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে বিকাল পর্যন্ত রামপুরা থেকে কোনো গাড়ি ব্রিজ পার হয়ে বাড্ডার দিকে যেতে পারেনি। উত্তর বাড্ডা, লিংকরোড, মধ্যবাড্ডা ও মেরুল থেকেও কোনো পরিবহন দক্ষিণে রামপুরার দিকে এগোতে পারেনি।

এতে রামপুরা থেকে মৌচাকমুখী সড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজট দেখা দেয়। অনেক যানবহন রামপুরা ব্রিজের কাছে এসে এগোতে না পেরে ইউ টার্ন নিয়ে আবার মালিবাগ রেলক্রসিংয়ের দিকে চলে যায়।

বিকাল পৌনে ৫টার দিকে মেরুল বাড্ডায় প্রগতি সরণি থেকে সরে যায় ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা ৭টার পর রামপুরা সংলগ্ন হাতিরঝিলের মুখে যানজট সহনীয় মাত্রায় নেমে আসে। তবে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় রাত ৯টার পরও এই সড়কে অন্য দিনের মত বিচ্ছিন্ন জট দেখা গেছে।  

# দুপুরে মহাখালী ওয়্যারলেস গেইটে অবরোধের কারণে গুলশান-১ থেকে মহাখালীর দিকে গাড়ি চলেনি। বিকালের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।

# ধানমণ্ডি ২৭ সড়কে অবরোধের কারণে কলেজ গেইট থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি পর্যন্ত মিরপুর সড়কে এবং  নিউ মার্কেট থেকে নীলক্ষেত হয়ে কাঁটাবনের রাস্তায় সারাদিন দীর্ঘ যানজট ছিল। বিকালের পর পরিস্থিতি সহনীয় মাত্রায় আসতে থাকলেও দিনের জটের রেশ ছিল দীর্ঘ সময়।