১০ বছর পর কিবরিয়া হত্যার বিচার শুরু

শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের দশ বছর পর খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেটের বরখাস্ত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩২ আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2015, 08:31 AM
Updated : 13 Sept 2015, 01:14 PM

সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান রোববার এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য শুরুর জন্য ২১ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করে দেন।

এ ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জানান, আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তার ১৪ জন ও জামিনে থাকা আটজনের উপস্থিতিতে আদালত অভিযোগ গঠনের এই আদেশ দেন।  

তিনি বলেন, এ মামলায় মোট ১৭১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের কথা রয়েছে। দ্রুত বিচার আইন অনুযায়ী আগামী ১৩৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন কিবরিয়া।

হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান ওই রাতেই হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।

তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।

সিলেটের বরখাস্ত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে অভিযোগ গঠনের জন্য আদালতে নেওয়া হয়।

এরপর আরিফুল ও গউছ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তা নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠান। সরকার তাদের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।

হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ মামলাটি বিচারের জন্য গত ১১ জুন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন। সেখানেই এ মামলার বিচার শুরু হচ্ছে।

এ মামলার আসামিদের মধ্যে লুৎফুজ্জামান বাবর ২০০৫ সালে কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের সময় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় ফাঁসির আদেশ পাওয়া বাবর ২১ অগাস্ট গ্রেনেড মামলাতেও অভিযুক্ত হয়েছেন।

২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোটের সরকারের আমলে হারিছ চৌধুরী একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা এবং জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলারও আসামি। তাকে পলাতক দেখিয়েই এ দুটি মামলার বিচার চলছে।

আর নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর (হুজি) প্রধান মুফতি আব্দুল হান্নান ২০০১ সালের ১৪ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।