অষ্টম পে-কমিশন: আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা

মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত অষ্টম পে-কমিশনে শিক্ষকদের বিষয়ে ‘স্পষ্ট’ সিদ্ধান্ত না পেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Sept 2015, 07:38 PM
Updated : 7 Sept 2015, 07:38 PM

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৩৭টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার পূর্ণ কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অবনমন ও অমর্যাদার প্রতিবাদে আমরা গত তিনমাস ধরে আন্দোলন করছি; কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের অন্ধকারেই রাখা হয়েছে।

“অষ্টম পে-কমিশন মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে পাস হলেও শিক্ষকদের বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য আসেনি। তাই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প আমাদের হাতে নেই।”

সব গ্রেডের বেতন প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে সরকারি কর্মচারীদের জন্য অষ্টম বেতন কাঠামো সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি পূরণ হয়নি।

তাদের বেতন কাঠামো পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ‘বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা জানিয়েছেন।

এদিকে ফেডারেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবিসমূহ এবং অবমাননার বিষয়টি বিবেচনা না করেই এ বেতন স্কেল অনুমোদন করা হয়েছে এবং সিলেকশন গ্রেডও বাতিল করা হয়েছে।

“আবার সংবাদমাধ্যমে এও বলা হয়েছে এই বেতন স্কেল শিক্ষকদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। এমতাবস্থায় ঘোষিত বেতন স্কেল অনেকটা অস্পষ্ট এবং ধারণা করা হচ্ছে, শিক্ষকদের ন্যায্য আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এই বেতন স্কেলে হবে না।”

বেতন কাঠামোর প্রস্তাব আসার পর কয়েক মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন মঙ্গলবার ৩৭ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেয়। মঙ্গলবার সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শোভাযাত্রাও বের হবে।

শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সমিতির শোভাযাত্রা মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ শুরু হয়ে টিএসসি ঘুরে কেন্দ্রীয় শহীদ পৌঁছে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে।