মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমাতে মোবাইল অপারেটরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Sept 2015, 02:39 PM
Updated : 5 Sept 2015, 07:38 PM

শনিবার গণভবনে ইন্টারনেট সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “ইন্টারনেটের দাম জনগণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে আমরা প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথের দাম আট দফায় কমিয়ে ৭৮ হাজার টাকা থেকে মাত্র ৬২৫ টাকায় নামিয়ে এনেছি।

“মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি যে, তারাও সমানভাবে গ্রাহক পর্যায়ে দাম কমাতে পারে।”

দাম কমালে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়বে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “তাতে করে মানুষ বেশি করে ইন্টারনেট ব্যবহার করবে। আয়টা বাড়বে।”

গত জুলাইয়ের শেষ নাগাদ বাংলাদেশে ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচ কোটি সাত লাখ সাত হাজার, যার মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক ৪ কোটি ৯২ লাখ ৪১ হাজার বলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য।

বাংলাদেশে ইন্টারনেটের দাম নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে; দাম কমানোর দাবি উঠছে অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় ইন্টারনেট সপ্তাহের আয়োজন করেছে সফটওয়ার রপ্তানিকারকদের সংগঠন বেসিস। বেসরকারি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন এতে সহযোগিতা করছে।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠীও উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিনামূল্যে সাবমেরিন কেবল সংযোগ পাওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার কথা তুলে ধরে তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালেই বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের জন্য এই খাত উন্মুক্ত করা হয়েছিল বলে জানান তিনি। তার আগে মাত্র একটি অপারেটরের মোবাইল সেবা এবং উচ্চ কল রেটের কথা উল্লেখ করেন তিনি।   

বক্তব্যের শেষদিকে গ্রামীণ ফোনের সিইও রাজীব শেঠীর দিকে তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গ্রামীণফোনকে একটা কথাই বলব, প্রথম বেসরকারি খাতে মোবাইল কোম্পানিকে যে আমি অনুমতি দিয়েছিলাম তার মধ্যে গ্রামীণফোন একটা। এই ব্যবসাটা আমারই দেওয়া। এই সাহসটা আগে কেউ পায়নি, এটাকে উন্মুক্ত করে দেওয়া। আগে একটা মাত্র মোবাইল কোম্পানি ছিল, আমরা এটাকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি।”

বক্তব্যে অবৈধ ভিওআইপি বন্ধের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

“ভিওআইপির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এটা আমাদের সরকারেরও লোকসান, দেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। সে বিষয়টা দেখতে হবে,” বলেন তিনি।