এবার নিখোঁজ ও মৃত রোহিঙ্গাদের খোঁজে ইসি

কক্সবাজার ও বান্দরবানের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রোহিঙ্গাদের মধ্যে এবার নির্বাচন কমিশন নিখোঁজ ও মৃত ব্যক্তিদের খোঁজে নেমেছে।

মঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Sept 2015, 06:29 AM
Updated : 5 Sept 2015, 06:45 AM

অন্তত ৭৪ জন নিখোঁজ ও মৃত রোহিঙ্গার বিষয়ে তথ্য জানানো মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বৃহস্পতিবার চিঠি পাঠিয়েছেন ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মাহফুজা আক্তার।

এতে বলা হয়, “রোহিঙ্গা হিসেবে অভিযুক্ত ও ভোটার তালিকাভুক্ত যেসব নাগরিকদের খুঁজে পাওয়া যায়নি, তাদের নাম কর্তন এবং যারা রোহিঙ্গা হিসেবে অভিযুক্ত ও ভোটার তালিকাভুক্ত কিন্তু মারা গেছে, তারা রোহিঙ্গা কি না- সে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।”

কক্সবাজার ও বান্দরবান পার্বত্য জেলার ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে গত বছর ২৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি সংস্থার অভিযোগ পায় নির্বাচন কমিশন।

রোহিঙ্গারা ভোটার হওয়ার পাশাপাশি তাদের ভোটার করতে সহায়তাকারী জনপ্রতিনিধি-নির্বাচন কর্মকর্তাদের নাম আসে ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। কিন্তু জেলা প্রশাসনের তদন্তে সহায়তাকারীদের বিষয়টি আর উঠে আসেনি।

৩৮৯ রোহিঙ্গা ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছে- এমন অভিযোগ থাকলেও ছয় মাস পর কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের পাঠানো প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৭৪ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজ অভিযুক্তদের বিষয়ে জেলা প্রশাসনের অনুসন্ধান বলেছে, ভোটার তালিকায় নেই ২৬ জন, অন্য উপজেলার ভোটার ৫ জন, খোঁজ পাওয়া যায়নি ৩৬ জনকে এবং মারা গেছেন ৭ জন।

নির্বাচন কমিশন

গত বছর ২৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর  কার্যালয়ের চিঠি পাওয়ার পর চলতি বছরে বান্দরবান জেলা প্রশাসক ৫ ফেব্রুয়ারি, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ৭ এপ্রিল, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ৬ এপ্রিল ও ৪ মে চিঠি চালাচালিও করেছে।

ইসি কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাওয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদন পাঠান দুই জেলা প্রশাসক। তালিকাভুক্ত যেসব নাগরিকদের খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং যারা মারা গেছে তারা রোহিঙ্গা কিনা তা জানতে চাওয়া হয়েছে এবার।

সেই ৩৮৮ জন

অভিযুক্তদের মধ্যে ৯৮ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। বাংলাদেশি নাগিরিক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে ১৮৪ জনকে।

পূর্বপুরুষ রোহিঙ্গা হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৩২ জন। এর মধ্যে মিয়ানমার থেকে আসা ১১ জন, পিতা রোহিঙ্গা ১২ জন, মা রোহিঙ্গা ৪ জন, পিতা-মাতা রোহিঙ্গা একজন, পিতামহ রোহিঙ্গা একজন, দাদি রোহিঙ্গা তিন জন।

এদের নাগরিকত্বের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বাকি ৭৪ জনের বিষয়ে কমিশনের কিছুই করার নেই বলে মতামত এলে এখন নতুন করে তথ্য চাইছে ইসি।