ইতিমধ্যেই ঈদ বাজারে সরবরাহের জন্য দূরের ব্যবসায়ীরা শার্শার খামারিদের কাছ থেকে গরু-ছাগল কিনতে শুরু করেছেন।
সরেজমিন ঘুরে উপজেলার বিভিন্ন পশুখামার সম্পর্কে জানা গেছে।
যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে উপজেলার উলাশি বাজারের পাশে রয়েছে তুহিনা বেগমের গরুর খামার। তার খামারে আছে ৩৮টি গরু।
তুহিনা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১২ বছর আগে ১২ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনে এই ব্যবসায় আসি। ভারত থেকে গরু আসার কারণে প্রতিবছর লোকসানে পড়ছিলাম। এ বছর গরু আসা বন্ধ থাকায় ভালো লাভের আশা করছি।”
গত সপ্তাহে তিনি ১০ লাখ টাকার গরু বিক্রি করেছেন বলে জানান।
এখন সেখানে ২০০ গরু রয়েছে। এসব গরুর সার্বক্ষণিক পরিচর্যা ও দেখভালের দ্বায়িত্বে আছেন ২৫ জন কর্মচারী।
নাসির উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাত বছর আগে খামার শুরু করি। স্থানীয় বাজার থেকে কেনা প্রতিটি গরু ৫-৭ মাস খামারে রেখে পরিচর্যা করার পর বিক্রি করলে ভালো লাভ হয়। বর্তমানে আমার দুটি খামার রয়েছে। ভারতীয় গরু না আসায় এ বছর ভালো লাভ হবে আশা করি।”
একই রকম আশা প্রকাশ করেন শ্যামলাগাছির আশানুর রহমান, সাদিকুর রহমান, খলিলুর রহমান; নারায়ণপুরের তারিক হোসেন, মিজানুর রহমান; বারিপোতার সাইদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, শার্শার সমর সরকারসহ অন্তত দেড় হাজার খামারি।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জয়দেব সিংহ বলেন, “শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও বেনাপোল পৌরসভায় প্রায় দেড় হাজার খামার রয়েছে। বেশিরভাগ খামারে গরু মোটা-তাজা করা হয়।”
কয়েকটি দুধ ও ছাগলের খামার রয়েছে বলেও তিনি জানান।
ভারতীয় গরু-ছাগল না আসায় ঈদ সামনে রেখে খামারিরা এ বছর উজ্জীবিত বলে জানান এই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।