শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি এসেছে।
সংগঠনের আহ্বায়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী বলেন, “ক্ষমতাসীন দলের পৃষ্ঠপোষকতায় আমাদের মন্দির দখল করা হচ্ছে, মা-বোনদের নিযার্তন করা হচ্ছে। আজ অবধি আমরা কোনো ঘটনার বিচার ও প্রতিকার পাই নাই। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে, সম্পত্তি ও মন্দির দখল হচ্ছে।”
এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ জানাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরী অভিযোগ করেন, “সারাদেশে যেভাবে লুটেরা সংস্কৃতি ও লুটেরা রাজত্ব কায়েম হয়েছে; ঠিক একইভাবে হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আজ অন্যায় ও নিযার্তন হচ্ছে। বিশ্ববাসী জানেন বর্তমান সরকারের আমলে কী ভয়াবহ সাম্প্রদায়িকতা চলছে।”
“প্রতিদিন নিযার্তনের শিকার হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন দেশত্যাগ করছে,” যোগ করেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।
এভাবে যদি মানুষ ‘দেশত্যাগ’ করে তাহলে ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হয়ে একটি ‘ভয়াবহ পরিস্থিতির’ সৃষ্টি তবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন নিতাই।
ফরিদপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি ‘প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় ও সরকারের এক মন্ত্রীর দখলের’ অভিযোগ এনে, ওই ঘটনার কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, সংগঠনের নেতা জয়ন্ত কুন্ড, মানিক লাল ঘোষ, সুশীল বড়ুয়া, মিল্টন বৌদ্ধ বক্তব্য রাখেন।
উপস্থিত ছিলেন বিজন কান্তি সরকার, তপন মজুমদারসহ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা জন গোমেজ, সুশীল বড়ুয়া, দেবাশীষ রায়, নুকুল সাহা, রমেশ দত্ত প্রমুখ।