ধর্মানুভূতিতে আঘাত সহ্য করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী

সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হলে তা সহ্য করা হবে না।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2015, 02:24 PM
Updated : 3 Sept 2015, 03:30 PM

বৃহস্পতিবার বিকালে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এদেশে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কথা বলার কোনো অধিকার কারও নেই।

“ধর্ম পালন করবেন না, করবেন না। কিন্তু অন্যের ধর্মে আঘাত দিতে পারবেন না। এটা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হলে তা সহ্য করা হবে না।”

গত ৭ অগাস্ট ঢাকায় ঘরের ভেতর ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় খুন হওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হকও একই ধরনের কথা বলেছিলেন।

নিলয়ের আগে চলতি বছরেই ব্লগার অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান বাবু ও অনন্ত বিজয় দাশ খুন হন।

একের পর এক মুক্তমনা লেখক-ব্লগাররা খুন হলেও হত্যা রহস্য উন্মোচিত না হওয়ায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মধ্যে আইনশৃঙ্খলার শীর্ষ কর্তাদের ওই কথায় সে সময় ব্যাপক সমালোচনা হয়।  

জন্মাষ্ঠমী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকালে হিন্দু নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা আরও বলেন, “আমরা চাই, এদেশে মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে। সকলে তাদের অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। সকলে স্বাধীনেভাবে তাদের ধর্ম পালন করবেন।”

উপস্থিত হিন্দু ধর্মাম্বলীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংখ্যালঘু সংখ্যালঘু বলে নিজেদের খাটো করবেন না। আপনারা মাতৃভূমির অধিকার নিয়ে এদেশে বসবাস করবেন। আপনারা এদেশের মানুষ, এদেশের নাগরিক।”

ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে, ধর্মহীনতা নয়- মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “এই বাংলাদেশে ধর্মের কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।”

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেণ শিকদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

রামকৃষঞ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেষানন্দ এবং চট্টগ্রামের শংকর মঠের সুরেষারানন্দও অনুষ্ঠানে  উপস্থিত ছিলেন।