বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সরকারের হাইটেক পার্ক পলিসির খসড়া রোডম্যাপ নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালার উদ্বোধন করে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং হাইটেক পার্ক অথরিটি আয়োজিত কর্মশালায় তথ্য-প্রযুক্তিবিদ, আইটি কোম্পানি ও সরকারের নীতি নির্ধারকরা রোডম্যাপ বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “হাইটেক পার্ক নির্মাণের জন্য শেখ হাসিনা সরকার ১৯৯৯ সালে উদ্যোগ নিয়েছিল, যা অন্য সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেমে গিয়েছিল। একই সময়ে শুরু হওয়া মালয়েশিয়ার হাইটেক পার্ক এখন হাজার কোটি ডলারের ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত হয়েছে।
“আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকার সুযোগ পেলে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাত এখন মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভারতের মতো হতো। আমরা এখন এসব দেশের মতো এগিয়ে যেতে চাই। সেজন্য সবার সাহসের প্রয়োজন।”
প্রতিমন্ত্রী জানান, গাজীপুরে ১৩২ একর জমিতে নির্মিত হাইটেক পার্কে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও উন্নত যোগাযোগ সুবিধা চালু করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই সেখানে রেল স্টেশন চালু করা হবে।
কর্মশালায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বেসিসের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ এইচ কাফি, মাহফুজুল ইসলাম, প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হাইটেক পার্ক তৈরির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ২০১০ সালে সরকার হাইটেক পার্ক অথরিটি গঠন করে।