বুধবার রাতে কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের তেলীপাড়া থেকে গোলাপী বেগমের (১৮) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে গোলাপীর বাবা চাঁন মিয়া বাদী হয়ে মেয়েজামাই তুফানের (২৪) বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
তুফানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তুফান নীলফামারী সদরের চাপড়াসরমজানি ইউনিয়নের নয়াপাড়ার গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে সৈয়দপুর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, কিছুদিন আগে নববিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার বৈরী হরিণবাড়ী গ্রামে শ্বশুরবাড়ি যান তুফান।
“বুধবার সকালে শ্বশুর চাঁন মিয়ার কাছে প্রথমে এক লাখ, পরে ৫০ হাজার এবং সর্বশেষ ১০ হাজার টাকা দাবি করেন তুফান।
“ভ্যানচালক শ্বশুর তার একমাত্র সম্বল রিকশাভ্যানটি দুই হাজার টাকায় বিক্রি করে তা জামাতার হাতে তুলে দেন।”
ওসি বলেন, ওইদিন বিকালেই তুফান স্ত্রীকে নিয়ে নীলফামারীর উদ্দেশ্যে শ্বশুরবাড়ি ত্যাগ করেন।
“কিন্তু বাড়ি না গিয়ে তুফান নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের তেলীপাড়ার তিস্তা সেচ খালের পাড়ে গোলাপীকে কুপিয়ে হত্যা করেন।”
ওসি জানান, রাত ৯টার দিকে তুফান তার পরিবারের লোকজনকে ফোনে জানান, গোলাপীকে দুর্বৃত্তরা ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যা করেছে।
ওসি বলেন, তুফানের পরিবারের লোকজন সৈয়দপুর থানাকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তুফানকেসহ গোলাপীর মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসে।
থানায় জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা না পেয়ে তুফান স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেন, বলেন ওসি।
গোলাপীর বাবা চাঁন মিয়া জানান, ঢাকার একটি গার্মেন্টস কারখানায় এক সঙ্গে কাজ করার সময় দুজনের পরিচয় হয়। আট মাস আগে তাদের বিয়ে হয়।