সকাল ৯টায় উপাচার্য ভবনের সামনে শুরু হওয়া এই অনশন দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের’ আহ্বায়ক অধ্যাপক সৈয়দ সামসুল আলম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমাদের একটাই দাবি, ভাইস চ্যান্সেলরের অপসারণ ও বিচার।
“আমি আশা করি, সরকার আজকের মধ্যেই উপাচার্যকে সরিয়ে নেবে। তা না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাব।”
গত ৩০ অগাস্ট শিক্ষকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে অধ্যাপক সামসুল আলম বলেন, “আমরা ওই দিনের হামলার হোতার পাশাপাশি যারা জড়িত তাদের সবার বিচার দাবি করছি।”
ওই হামলার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানান তিনি।
শিক্ষকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে গত ১২ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন সরকার সমর্থক শিক্ষকদের এই অংশটি।
অন্যদিকে এ আন্দোলনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি ‘অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র’ আখ্যায়িত করে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তার চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে শিক্ষকদের আরেকটি অংশ উপাচার্যের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের কর্মসূচির মধ্যেই উপাচার্যপন্থি ও বিএনপি-জামায়তপন্থি শিক্ষকদের ক্লাস ও পরীক্ষা নিতে দেখা গেছে।