বুধবার চুয়াডাঙ্গার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা কেরুজ হাসপাতাল পাড়ার আনোয়ার হোসেন খানের ছেলে রাজিব আহমেদ হিরণ।
মামলায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনার মুক্তি ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমের চিকিৎসক সেলিমা আক্তার সিমু ও পারভীন ইয়াসমিনকে আসামি করা হয়েছে।
“তখন বাদীর সাথে ডাক্তারদের কথা কাটাকাটি হয়। এ কারণে তারা সালমার শরীরে একাধিক ইনজেকশন পুশ করেন এবং প্রেশারের ওষুধ দেন। ফলে তার গর্ভের সন্তান মারা যায়।”
বিচারক আব্দুল হালিম বাদীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী শামীম রেজা ডালিম জানিয়েছেন।
বিচারক দামুড়হুদা থানার ওসিকে অভিযোগের তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে আসামি ডা. পারভীন ইয়াসমিন বলেন, “গর্ভের বাচ্চা তখন আট মাসের। ভর্তি হওয়ার পরদিন আমরা ওই রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বাচ্চা পুষ্ট না হওয়ায় তাকে ছেড়ে দিই। দুই দিন পর ওই রোগী আবারও আমাদের কাছে আসেন। আমরা তাকে পরীক্ষা করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দিই। তারপর তারা এখান থেকে চলে গেছেন। বাচ্চা মারা গেছে আরও পরে।”