বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাজিব হোসেনের মৃত্যু হয় বলে নাটোর সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
গত শনিবার নাটোর শহরের তেবাড়িয়া এলাকায় আওয়ামী লীগের মিছিলে হামলায় রাজিব গুলিবিদ্ধ হন। তাকে রাজশাহীতে পাঠানোর পর মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে দুদিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।
রাজশাহী মেডিকেলের চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাজিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তার মাথা থেকে গুলি বের করতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।”
রাজিবের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহীর রাজপাড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে দেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ঘটনায় নাটোর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ প্রায় ১০০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়েছে।
এ মামলায় ২৩ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে বলে ওসি মিজান জানান।
সেদিন সন্ধ্যায় নাটোর শহরের একতার মোড়ে জাতীয় শোক দিবসের সভা চলছিল। রাজিবসহ যুবলীগের কর্মীরা সেখানে যাচ্ছিলেন। তেবাড়িয়া বাজার এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাতপরিচয় অস্ত্রধারীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
রাজীব নাটোর সদর উপজেলার হুগোলবাড়িয়া এলাকায় আমিন হোসেনের ছেলে।