অমুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা ফেরত নেওয়া হবে: মন্ত্রী

তদন্তের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে অমুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে তারা যেসব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন তা ফেরত নেওয়া হবে বলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2015, 05:32 PM
Updated : 2 Sept 2015, 07:47 PM

বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “অমুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে যেসব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন তা তাদের কাছ থেকে ফেরত নেওয়া হবে।

মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা তৈরি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা সরাসরি যুদ্ধ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধে যেসব চিকিৎসক-নার্স সেবা দিয়েছেন, মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী, যারা সম্ভ্রম হারিয়েছেন তারা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আসবেন।”

নাভানা আক্তারের এক প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, “অতীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা হয়নি। অমুক্তিযোদ্ধারা তালিকাভুক্ত হয়েছে। এটা জাতির জন্য লজ্জার।”

১৯৯৬ সালে একটি ‘যথার্থ’ তালিকা হয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, “চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এসে বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ৪৪ হাজার লোককে তালিকাভুক্ত করেছিল।”

একবার তালিকা তৈরি হয়ে গেলে বাদ দেওয়া প্রক্রিয়ার অংশ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “এই জন্য তদন্ত করতে হয়। তালিকাভুক্ত করা যত সহজ, বাদ দেওয়া তত কঠিন।

“সম্প্রতি আদালতে একটি রিট আবেদন হওয়ায় আপাতত এ প্রক্রিয়া স্থগিত আছে। আমরা আদালতে এই সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে জবাব দাখিল করেছি।”

সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তাদের বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে বলে জানান মন্ত্রী।

মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে বর্তমানে ১৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। চলতি অর্থ বছরের অগাস্ট পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠান থেকে দুই কোটি ৪২ লাখ টাকা আয় হয়েছে।”

দিদারুল আলমের আরেক প্রশ্নের জবাবে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, “হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের মান আশাব্যঞ্জক নয়। তবে পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে।”

যাত্রীদের লাগেজ নিয়ে বিড়ম্বনার কথা স্বীকার করে মন্ত্রী এজন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবের কথা জানান।

প্রশ্নোত্তরে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, “২০০৪ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৪৪০টি।”

পাগমার্ক পদ্ধতির ওই জরিপ বিজ্ঞানসম্মত হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সম্প্রতি বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে সুন্দরবনে বাঘ গণনার জন্য ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে জরিপ চালানো হয়েছে। এর ফল অচিরেই প্রকাশ করা হবে।”

বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী সুন্দরবনে হরিণের সংখ্যা এক থেকে দেড় লাখ, কুমির দুই থেকে আড়াইশ এবং বানরের সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ হাজার বলেও জাতীয় সংসদকে জানান মন্ত্রী।