এরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের ছাত্র রাতুল হাসান নাঈম, আমিরুল ইসলাম ও নাজমুল সাকিব।
তিনজনই প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী বলে তারা জানিয়েছেন।
শাহবাগ থানায় ওসি আবুবকর সিদ্দিক বলেন, “যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই তিনজনকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তারা এখন শাহবাগ থানায় আটক রয়েছে।”
তবে তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ বা মামলা দায়ের করা হয়নি জানিয়ে ওসি বলেন, “যদি আগামীকাল পর্যন্ত কেউ অভিযোগ বা মামলা না করে তবে কোর্টে চালান দেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, রাত সোয়া ১টার দিকে রোকেয়া হলের এক ছাত্রী এবং তার দুই সহপাঠী টিএসসির পায়রা চত্বরে বসে গল্প করছিল।
“আমরা টহল দেওয়ার সময় তাদের দেখতে পেয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চলে যেতে বলি। এর একটু পরেই দুটি ছেলে ওই ছাত্রীর কাপড় ধরে টান দেয় ও যৌন হয়রানির চেষ্টা করে।”
“মেয়েটির চিৎকার শুনে সহকারী প্রক্টরদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি। এসময় ওই তিনজন মাদকাসক্ত অবস্থায় ছিল।”
ওই তিনজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বলেন, “ওই ছাত্রী গভীর রাতে টিএসসিতে কী জন্য এসেছিল তাও খতিয়ে দেখা হবে।”
আটকদের মধ্যে নাঈম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পড়াশুনা শেষে রাতে হল থেকে বের হয়ে টিএসসিতে ঘুরতে আসি। ওই সময় একটি মেয়েসহ তিনজনের জটলা দেখে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করি- ‘আপনারা ক্যাম্পাসের কি না’, আইডি কার্ড দেখতে চাই।
“তখন তাদের মধ্যে একজন ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন-ক্যাম্পাসের না হলে কী করবেন? আর একজন বলেন ক্যাম্পাসের। তখন আমরা বলি এটা বলতে এত জোরে কথা বলতে হয়!”
নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ওই শিক্ষার্থী বলেন, “মেয়ের গায়ে কেউ হাত দেইনি। ছেলেদেরও কিছু করিনি। প্রক্টর স্যার ঘটনাস্থলে আসেন, স্যারকে আমরা চিনি না বলে স্যারের সঙ্গে একটু খারাপ আচরণ করি।”