তিনি বলেছেন, “৩১ অগাস্ট প্রথম আলোতে আমার একটা ছবি ছাপানো হয়েছে যেখানে দেখানো হয়েছে আমি আঙ্গুল তুলে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেনকে ‘শাসাচ্ছি’ এবং তিনি করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনার ভঙ্গিতে দাড়িয়ে আছেন।
“আঙ্গুল নাড়িয়ে কথা বলা আমার একটি বদ অভ্যাস এবং সেই সুযোগটি গ্রহণ করে প্রথম আলো এই কুরুচিপূর্ণ ছবিটি দিয়ে জনাব আখতার হোসেনকে যেভাবে অসম্মানিত করেছে সেটি আমাকে অত্যন্ত ব্যথিত করেছে।”
গত ৩০ অগাস্ট শাবিপ্রবিতে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এ সময় অধ্যাপক ইয়াসমীনসহ কয়েকজন শিক্ষক আহত হন।
ওই ছবিতে দেখা যায়, অধ্যাপক ইয়াসমীন আঙ্গুল তুলে জালালাবাদ থানার ওসি আখতার হোসেনকে কিছু একটা বলছেন। আর দুই হাত জোড়ে মাফ চাওয়ার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছেন ওসি।
ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়, “শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেন।”
তবে ছবিতে যে ভাব প্রকাশ হয়েছে বাস্তবিক অর্থে বিষয়টি তেমন ছিল না জানিয়ে ইয়াসমীন হক বলেন, “প্রকৃতপক্ষে ৩০ অগাস্ট জনাব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে একটি মহিলা পুলিশের দল আমাকে রক্ষা না করলে আমি আরও বড় ধরনের আঘাত পেতে পারতাম এবং সেজন্যে তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
“প্রথম আলোতে প্রকাশিত ছবিটির জন্যে আমি আজকে জনাব আখতার হোসেনের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। জনাব আখতার হোসেনকে তার প্রাপ্য সম্মান দেয়ার জন্য এবং মহিলা পুলিশের দলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য আমি দুটি ছবি যুক্ত করে দিচ্ছি।”
বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় নিজের ভেরিফাইড ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে অধ্যাপক ইয়াসমীনের বক্তব্য পোস্ট করেন তিনি।
ভূমিকায় জাফর ইকবাল বলেন, “প্রফেসর ইয়াসমীন হক সবার কাছে একটি বক্তব্য দিতে চাইছেন, তার কোনো ফেসবুক একাউন্ট নেই বলে তার অনুরোধে আমি তার বক্তব্যটি এখানে প্রকাশ করছি।”