শাবিতে শিক্ষক পেটানোয় বহিষ্কৃত ছাত্রের পরীক্ষা গ্রহণ

শিক্ষক পেটানোর অভিযোগে একদিন আগে যাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, তারই পরীক্ষা নিয়েছে একটি বিভাগ।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2015, 02:26 PM
Updated : 2 Sept 2015, 03:05 PM

বুধবার জাহিদ হোসেন নাঈম নামে বহিষ্কৃত ওই ছাত্রের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে বন ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নারায়ণ সাহা যুক্তি দেখিয়েছেন, “পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আমরা তার বহিষ্কারের চিঠি পাই।”

তবে উপাচার্যবিরোধী শিক্ষকদের নেতা মো. ফারুক উদ্দিন বলেছেন, “ভাইস চ্যান্সেলর পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করিয়েছেন।”

বন ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী জাহিদ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ‘এফইএস ২১৮’ কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন।

পরীক্ষার হলে পরিদর্শক ছিলেন ওই বিভাগের শিক্ষক এ জে এম মনজুর রশিদ, মাহমুদা শারমিন, ফাহমিদা সুলতানা ও সৌরভ দাস।

জাহিদ ছাত্রলীগকর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের অনুসারী বলে পরিচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়ার পদত্যাগের দাবিতে আন্দালনরত শিক্ষকদের উপর রোববার প্রশাসনিক ভবনে হামলার পর মঙ্গলবার জাহিদসহ চার ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জাহিদ হোসেন নাঈম, বহিষ্কৃত হওয়ার পর পরীক্ষা দিয়েছেন

শিক্ষক পেটানো নিয়ে সারাদেশে নিন্দা-প্রতিবাদের মধ্যে বহিষ্কারের ওই খবরটি সবগুলো সংবাদ মাধ্যমে স্থান পেয়েছিল। 

উপাচার্য বুধবারও সাংবাদিকদের কাছে চারজনকে সাময়িক বহিষ্কারের কথা তুলে ধরে বলেছেন, আরও যারা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাহিদের সঙ্গে বহিষ্কৃত অন্যরা হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের ধনী রাম রায়, রাজনীতি অধ্যয়ন বিভাগের আবদুল্লাহ আল মাসুম, বন ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের আরিফুল ইসলাম আরিফ।