তারা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি ও বুড্ডিস্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাজীব বাড়ৈ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অমিত কুমার দাস।
রাজীব বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের পাঠাগার সম্পাদক ছিলেন। আট মাস আগে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। অমিতও ছাত্রলীগে যুক্ত।
১৬ আগস্ট ছিনতাইয়ের ওই ঘটনায় গত সোমবার গ্রেপ্তার এই দুই ছাত্রকে বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে নেয় পুলিশ।
এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আরও দুজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের স্টাফ কোয়ার্টারের সোহেল (২০) এবং সূর্যসেন হল ক্যান্টিনের কর্মচারী হাবিবকেও (৩৩) আদালতে নেওয়া হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে হেফাজতে রাখার আদেশ চান।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর দুই ছাত্রসহ চারজনকে তিন দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
মামলার বাদী নাট্যকর্মী আনসার আলী লিমন অভিযোগ করেছেন, গত ১৬ অগাস্ট সন্ধ্যার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে যাওয়ার পথে তার সঙ্গীকে ধর্ষণের ভয় দেখিয়ে তার মোবাইল ফোন ও এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে কার্ড দিয়ে বুথে থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে নেয় ছিনতাইকারীরা।
তবে রিমান্ড আবেদনের কোথাও তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ধর্ষণের ভয় দেখিয়ে ছিনতাইয়ের কথা উল্লেখ করেননি।
তিনি বলেছেন, রাত ৮টার দিকে শিখা চিরন্তনের কাছে বাদী তার বান্ধবীকে নিয়ে পৌঁছামাত্র আসামিরা নানা রকম জিজ্ঞাসাবাদ করে। বাদীকে মারধর করে ২৫শ’ টাকা, একটি স্মার্ট মোবাইল সেট, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ডেবিড কার্ড এবং গোপন পিন নাম্বার আসামিরা বাদীর কাছ থেকে জেনে নেয়। পরে চারজনের মধ্যে দুই আসামি টিএসসির ডাচ বাংলা বুথ থেকে ৫০ হাজার টাকা তোলে। যাওয়ার সময় বাদীর বান্ধবীর গলায় থাকা ৬ আনা ওজনের সোনার চেইন নিয়ে যায়।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করলেও শুনানি শেষে তা নাকচ করেন বিচারক।
ছিনতাইয়ের পর লিমন ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথের সিসি ক্যামেরার ছবি পুলিশকে দেওয়ার আবেদন করেন। ওই ছবি দেখে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করেন তিনি।
গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় রাজীব ও অমিতকে দেখে তিনি পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তা জানান। তখন পুলিশ গিয়ে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে।