আসামিরা হলেন- ফরিদ, সাগর, লিটন, ইলিয়াস ও তার ছেলে সোহেল রানা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ইমাউল হক বুধবার মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে পাঁচ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন। ফরিদ, সাগর ও লিটনকে পাঁচদিন এবং ইলিয়াস ও সোহেল রানাকে তিন দিনের হেফাজত চান তিনি।
শুনানি নিয়ে বিচারক ইমতিয়াজুল হক সবাইকে দুই দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
গত ২৩ জুলাই মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা নিয়ে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। গুলিতে নিহত হন মমিন ভূইয়া নামে একজন। গর্ভস্থ শিশুসহ গুলিবিদ্ধ হন নাজমা বেগম নামে এক গৃহবধূ।
ওই রাতেই মাগুরা সদর হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নাজমার আট মাসের গুলিবিদ্ধ শিশুকে ভূমিষ্ঠ করানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার পর গত ২১ অগাস্ট মেয়ে সুরাইয়াকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন নাজমা বেগম।
নিহত মমিনের ছেলে রুবেল গুলির ঘটনায় গত ২৬ জুলাই মাগুরা সদর থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।
এ মামলার এজাহারভুক্ত ১৬ আসামির মধ্যে এ পর্যন্ত ১১ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। ৩ নম্বর আসামি আজিবর পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। আর ২ নম্বর আসামি মোহাম্মদ আলীসহ চারজন পলাতক রয়েছেন।