মোবাইলে সারচার্জ আরোপে বিল     

মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপর এক শতাংশ হারে সারচার্জ আরোপের বিধান রেখে নতুন আইনের প্রস্তাব সংসদে উঠেছে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2015, 04:41 PM
Updated : 1 Sept 2015, 04:59 PM

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ‘উন্নয়ন সারচার্জ ও লেভী (আরোপ ও আদায়) বিল- ২০১৫’ উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

পরে বিলটি এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

মোবাইল কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে যে বিল নিচ্ছে, তার সঙ্গে এই এক শতাংশ সারচার্জ যোগ হবে।

সরকার মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে এই সারচার্জ আদায় করবে। মোবাইল ফোনে যতো ধরনের সেবা রয়েছে তার সবগুলোর উপরই এই সারচার্জ প্রযোজ্য হবে।

গত মার্চ মাসে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত এই বিলে বলা আছে, “সরকার মোবাইল অপরেটর কর্তৃক সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার বিনিময়ে প্রাপ্ত সমুদয় অর্থ বা আয়ের ওপর এক শতাংশ হারে সারচার্জ আদায় করবে।”

সুনির্দিষ্ট কোনো খাতে জনগণের কাছ থেকে অর্থ তুলতে সারচার্জ আরোপ করে সরকার। এক সময় যমুনা সেতু (বঙ্গবন্ধু সেতু) তৈরিতে সরকার সারচার্জ আরোপ করেছিল। তখন বাস-ট্রেনের টিকিট, সিনেমার টিকিট কাটার সময় অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হত, যা যমুনা সেতুর তহবিলে যেত।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, “২০১৪-১৫ সালের বাজেট অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহান জাতীয় সংসদে প্রদত্ত বক্তৃতায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি সারচার্জ আরোপপূর্বক উক্ত সারচার্জের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ শিক্ষা উন্নয়ন খাতে ব্যয় করার স্বপক্ষে সদয় অভিমত ব্যক্ত করেন।

“বিষয়টি পর্যালোচনায় দেখা যায়, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীগণ যে সকল সেবা গ্রহণ করেন তার মূল্যের উপর মাত্র এক শতাংশ সারচার্জ আরোপ করা হলে তা কারো জন্য অধিক করভার হিসেবে বিচিত হবে না। মোবাইল কলচার্জ ও অন্যান্য সেবার উপর এক শতাংশ হারে উন্নয়ন সারচার্জ আরোপ করা হলে বছরে প্রায় ১৪০ কোটি টাকা সারচার্জ আদায় করা সম্ভব হবে, যা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।”

এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অধ্যাদেশ-২০১৫’ সংসদে উত্থাপন করেন।

গত ১৩ জুলাই অধ্যাদেশটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়। অধ্যাদেশ জারির পর সংসদের প্রথম বৈঠকেই তা উত্থাপনের বিধান রয়েছে।