এ ঘটনায় তার সহপাঠীসহ তিন কিশোরকে আটক করা হয়েছে, যারা অপহরণ ও হত্যার কথা র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে।
নিহত তানভির হোসেন (১১) শহরের হাফরাস্তা এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে। সে চারবছর ধরে আশরাফুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসায় পড়ালেখা করছিল।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় মাদ্রাসার পাশের একটি বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে তানভীরের লাশ পাওয়া যায় বলে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক কর্নেল মাহবুব হোসেন জানান।
তানভীরের বাবা নির্মাণ ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ও তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম মাদ্রাসায় গিয়ে ছেলেকে দুপুরের খাবার খাইয়ে আসেন।
“রাতের খাবার নিয়ে যাওয়ার পর তাকে আর না পেয়ে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।”
তিন দিন পর অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি ফোন করে তানভীরের মুক্তিপণ হিসাবে পাঁচ লাখ দাবি করলে সাইফুল ইসলাম বিষয়টি র্যাবকে জানান।
র্যাব কর্মকর্তা মাহবুব জানান, মোবাইল ফোনে আড়ি পেতে সোমবার রাতে তানভীরের সহপাঠী হুসাইদ হোসেন (১৪) ও বায়জিদ হাসান (১৩) এবং তাদের বন্ধু নাঈমকে (১৫) আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা খুনের কথা স্বীকার করে।
মঙ্গলবার সকালে তিনজনকে নিয়ে মাদ্রাসার পাশে আবুল কাশেমের পরিত্যক্ত বাড়িতে গিয়ে তানভীরের লাশ পায় র্যাব।
এ সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই তানভীরকে অপহরণ ও খুনের ঘটনার বর্ণনা দেয় তিন কিশোর।
তারা বলেন, মাদ্রাসার পাশে নাঈমের একটি মুদি দোকান আছে। যেখানে বসেই তানভীরকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করা হয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার বিকালে তানভীরকে নতুন মোবাইল ফোন দেখানোর কথা বলে জঙ্গলে ঘেরা ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে তারা তানভীরের গলায় রশি পেঁচিয়ে খুর দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করে। এরপর সেপটিক ট্যাংকে লাশ ফেলে তার চলে যায় বলে পুলিশ ও উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান।
আটক তিনজনকে সদর থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব। তানভীরের লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।