সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় একজনকে বহিষ্কারের পাশাপাশি আরও চারজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা ইকরাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আটকদের পাঁচজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাউকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়নি।”
যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান রিয়াদকে এক টার্মের জন্য এবং হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এরা সবাই যন্ত্রকৌশল বিভাগের ছাত্র, থাকতেন নজরুল ইসলাম হলে।
এদের সঙ্গে শুভ, ফয়সাল, মিনার, নাদিফ নামে আরও চারজনকে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা জঙ্গি সন্দেহে প্রশাসনের কাছে ধরিয়ে দিয়েছিলেন।
তবে শেষ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে বুয়েট ছাত্র কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “পাঁচজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের পুলিশে দেওয়া হয়নি। তবে তদন্তের জন্য তাদের কাছে পাওয়া আলামত পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে।”
ওই ছাত্রদের কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলার বিধিমালার ভিডিও, প্রধানমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ এবং যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সমর্থনে ভিডিও পাওয়া যায় বলে দাবি ছাত্রলীগ নেতাদের।
রোববার মধ্যরাত থেকে নজরুল ইসলাম হল থেকে নয় ছাত্রকে আটক করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সোমবার দুপুরে বুয়েট প্রশাসনের কাছে তাদের তুলে দেওয়া হয়।
বুয়েট ছাত্রলীগের নজরুল ইসলাম হল শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনোয়ার হাবিব অনিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শিবির ও জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার সন্দেহে হলের বর্ধিত ভবন থেকে তারেককে আটক করা হয়।
“তাকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে রাতে অন্য সাতজনকে হল থেকে আটক করা হয়। এদের নেতা ইকবাল। তাকে আজ ধরেছি।”
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পর বিকালে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়।