সোমবার শেরেবাংলানগরস্থ ইসি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “নাগরিকদের ব্যক্তিগত কোনো তথ্য-উপাত্ত কাউকে সরবরাহ করা হচ্ছে না। বরং সেবাগ্রহীতাদের সঠিকতা যাছাইয়ের সুবিধার্থে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ভেরিফিকেশন সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।”
নির্বাচন কমিশনে সাড়ে নয় কোটিরও বেশি নাগরিকের ছবি, আঙ্গুলের ছাপসহ অন্তত ৪০টিরও বেশি তথ্য সম্বলিত তথ্যভাণ্ডার সংরক্ষিত রয়েছে। জাল-জালিয়াতি রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর পরিচয়পত্র যাচাইয়ের সুবিধার্থে ইসির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করেছে।
সম্প্রতি বেসরকারি খাতে ব্র্যাক ব্যাংক ও ডাচবাংলা ব্যাংকও ইসির সঙ্গে চুক্তি করেছে।
এ বিষয়টি পরিস্কার করতেই ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা কারো কাছে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করছি না। শুধু অনলাইন ভেরিভিকেশন সার্ভিস দিচ্ছি। আমাদের কাছে তথ্যভাণ্ডার রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রয়োজন হলে নির্দিষ্ট ব্যক্তির পরিচয় (অন্তত ছয়টি তথ্য) সঠিক কিনা তা যাচাই করতে পারবে এ সার্ভিসে।”
তিনি জানান, নাগরিকদের কোনো গোপনীয় তথ্য ‘ভেরিফিকেশন সার্ভিসে’ নষ্ট করার সুযোগ নেই।
“নাগরিকদের সঠিকতা যাচাইয়ে গোপনীয়তাহানির কোনো শঙ্কা নেই। তারা শুধু সঠিক ব্যক্তি কিনা তা জানবে-ইয়েস অর নো বলে দেব আমরা।”
এনআইডি ফি: সোনালী ব্যাংকে চালান, যে কোনো ব্যাংকে পে-অর্ডার
ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার থেকে নবায়ন, সংশোধন ও হারানো পরিচয়পত্র নিতে ফি দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে।
তিনি জানান, সোনালী ব্যাংকে ট্রেজারি চালান কিংবা যে কোনো ব্যাংক থেকে পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট করতে হবে।
শিগগির ঢাকা মহানগরীতে এনআইডি সেবা বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে বলে জানান সচিব।
“আগারগাঁওয়ের এনআইডি কার্যালয় থেকে এখন কার্ড সেবা দেওয়া হচ্ছে। দুর্ভোগ কমাতে আমরা ঢাকা জেলা নির্বাচন অফিসের আটটি স্থান থেকে সেবা শুরু করবো।”