কর্মপরিচালনাকারী জনবলের বেতন যাবে উপজেলা পরিষদ তহবিলে

উপজেলা পরিষদের হস্তান্তরিত প্রতিষ্ঠান বা কর্মপরিচালনাকারী জনবলের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ বাবদ সরকারের দেওয়া অর্থ পরিষদের তহবিলে জমার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2015, 01:59 PM
Updated : 31 August 2015, 01:59 PM

সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮’ অনুযায়ী পরিষদের নিকট হস্তান্তরিত প্রতিষ্ঠান বা কর্মপরিচালনাকারী জনবলের বেতন, ভাতা এবং তৎসংক্রান্ত অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ বাবদ সরকার প্রদত্ত অর্থ পরিষদের তহবিলে জমা প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “উপজেলা পরিষদে দুই ধরনের অফিস রয়েছে একটি হলো ট্রান্সফার সাবজেক্ট বা হস্তান্তরিত বিষয় যেমন কৃষি অফিস আরেকটি হচ্ছে রিটেইন সাবজেক্ট বা সংরক্ষিত বিষয় যেমন পুলিশ র‌্যাব। উপজেলা পরিষদের অধিকাংশই হস্তান্তরিত বিষয় আর কিছু হচ্ছে সংরক্ষিত বিষয়।

“এ আইনে বলা আছে উপজেলা পরিষদের হস্তান্তরিত প্রতিষ্ঠান বা কর্মপরিচালনাকারী জনবলের বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য ব্যয় উপজেলা পরিষদের তহবিলে ট্রান্সফার করতে হবে। আইনে আছে তবে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এখন এই বিধানটা এখন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সচিব বলেন, “অর্থ মন্ত্রণালয় যখন বাজেট দেয় তখন মন্ত্রণালয় অনুযায়ী বাজেট দেয়। বর্তমানে মন্ত্রণালয় অধিদপ্তরগুলোকে দেয়, অধিদপ্তরগুলো ফিল্ড অফিসকে দেয় বা জেলাকে দেয় এবং জেলা আবার উপজেলা অফিসগুলোকে ডিস্ট্রিবিউট করে।”

এই বিধান বাস্তবায়নের ফলে বেতন-ভাতা সরাসরি উপজেলা পরিষদের তহবিলে যাবে।

“এটি একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে করা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ আইনে ২৪(৩) ধারায় বলা আছে, পরিষদের হস্তান্তরিত বিষয়ে পরিচালনা, পরামর্শ প্রদান এবং নির্দেশনা জারির উদ্দেশ্যে জাতীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করতে হবে। সে অনুযায়ী ২০০৯ সালে ১৫ সদস্যের কমিটি করা হয়। এই কমিটিতে তহবিল জমার বিষয়ে বলা হলে স্থানীয় সরকার বিভাগ এ প্রস্তাব নিয়ে আসে।”

প্রথম উপজেলা পরিষদ যখন হয় তখন এ ধরণের একটি প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হয়েছিল বলে এ প্রস্তাবও মন্ত্রিসভায় নিয়ে তোলা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

১৩টি মন্ত্রণালয়ের ১৭টি দপ্তরের অফিস উপজেলা পরিষদের হস্তান্তরিত বিষয় হিসেবে রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “মন্ত্রণালয়ের একাধিক দপ্তর থাকতে পারে। উদাহারণস্বরূপ বলা যায়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুটি দপ্তর রয়েছে- মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। উপজেলা পরিষদে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রয়েছেন।”

কর্মপরিচালনাকারী জনবলের বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ বাবদ সরকারের দেওয়া অর্থ পরিষদের তহবিলে জমার ফলে হস্তান্তরিত বিষয়ে যে অফিসগুলো রয়েছে তাদের উপজেলা পরিষদে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।