সোমবার মেয়েটির লাশ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নড়িয়া থানার ওসি ইকবাম আলি মিয়া বলেন, “আমরা ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠাই।”
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মেয়েটির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলেন ওসি।
নড়িয়া থানা ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার হাটুরিয়া চরগুয়াই গ্রামের আনোয়ার হোসেন মৃধা স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান নিয়ে জেলার নড়িয়া উপজেলার ভুমখাড়া গ্রামের কামাল বেপারীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
আনোয়ার ও তার স্ত্রী মিনারা বেগম বিভিন্ন মাজারে বাউল গান গেয়ে সংসার চালাত।
গত শনিবার সকালে দুই মেয়েকে তারা বাড়িতে রেখে কুমিল্লার বেলতলি মাজারে গান গাইতে যান। শনিবার ছোট মেয়ে সোনিয়া আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয় মা মিনারা বেগমের। এ সময় বড় মেয়ে রুমা স্কুলে ছিল।
বিকালে রুমা স্কুল থেকে এসে বাড়ির মূলফটক বন্ধ পায়। দেয়াল টপকে ঢুকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে তার ছোট বোনকে ঝুলে থাকতে দেখে।
এ সময় রুমার চিত্কারে স্থানীয়রা এসে নড়িয়া থানা পুলিশকে খবর দেয়।
নিহত শিশুর মা মিনারা বেগম বলেন, “শনিবার সকাল ১০ টায় ও দুপুরে ছোট মেয়ে সোনিয়া আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে শেষ কথা হয়।
বিকালে তিনি খবর পান মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।