ক্ষেতে পানি বিপাকে ফরিদপুরের মরিচ চাষিরা

টানা বর্ষণ ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে মরিচ ক্ষেতে পানি ঢুকে জমে থাকায় অনেক ক্ষেতে মরিচ গাছ মারা গেছে।

ফরিদপুর প্রতিনিধিমফিজুর রহমান শিপন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2015, 01:03 PM
Updated : 31 August 2015, 01:03 PM

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় প্রচুর মরিচ চাষ হয়। এ উপজেলা থেকে প্রতিবছরই দেশের বিভিন্ন স্থানে মরিচ যায়।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জি এম আবদুর রউফ জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদ হয়েছে। আবাদের লক্ষমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৯৫৫ হেক্টর।

তিনি বলেন, “জেলার মধ্যে মধুখালী, সদরপুর ও ভাঙ্গা উপজেলায় মরিচের আবাদ বেশি হয়। কিন্তু এবার অতিবৃষ্টি আর নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে মরিচ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

জেলার মধুখালী উপজেলাতে সবচেয়ে মরিচের আবাদ বেশি হয়। মধুখালীর কাটাখালী, মেগচামী, খালকুলা, বাগাট, কোরকদি, চানপুর গ্রামের বেশিরভাগ কৃষি জমিতেই মরিচ আবাদ করা হয়।

এই উপজেলার চাষিদের বেঁচে থাকার প্রধান অবলম্বনই মরিচ চাষ। এ বছর ভাল ফলন হলেও বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর পানি প্রবেশ করার কারনে মরিচ গাছ মারা যাওয়ায় কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

মধুখালীর কোরকদি এলাকার মরিচ চাষি হাফিজার মুন্সি, মোতালেব শেখ, হরিপদ রায়সহ আরো অনেকেই জানান, তাদের এলাকাতে এই মৌসুমের প্রধান ফসল মরিচ। এই মরিচ চাষের উপরই তাদের সংসার চলে। কিন্তু বৃষ্টির পানি ক্ষেতে প্রবেশ করায় এখন গাছগুলো মরে গেছে।

কোরকদি ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়াম্যান মুকুল হোসেন বলেন, “আমার ইউনিয়নের চাষিরা মরিচের উপর বেশি নির্ভরশীল।

“কিন্তু পানির কারণে এই ইউনিয়নের ৭০ ভাগ মরিচ গাছ মারা গেছে। এতে কৃষকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।”

এদিকে বন্যার পানিতে জেলার সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮০ ভাগ তলিয়ে যাওয়ায় সেখানকার চাষিদেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই দুই উপজেলার প্রায় ৭শ’ হেক্টর ক্ষেতের মরিচ গাছ মরে গেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।