যশোরে হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন

যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় এক কলেজ শিক্ষক বোমা মেরে হত্যা মামলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাত জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2015, 11:26 AM
Updated : 31 August 2015, 11:26 AM

সোমবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মণিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিতুজ্জামান ওরফে মহিত মাস্টার (৩৫), রোজিপুর গ্রামের ভোলানাথ হালদারের ছেলে প্রসেন হালদার (৪২), মহেন হালদার (৪০) ও হিরামন হালদার (২৮), একই উপজেলার খাকুন্দি গ্রামের সরোয়ার সরদারের ছেলে আনিচুর রহমান (৩৫),মনোহরপুর গ্রামের আব্দুল সরদারের ছেলে মিজানুর রহমান (২২), রোজিপুর গ্রামের বিকাশ হালদারের ছেলে বিধান হালদার (৪০)।

একইসঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

এছাড়া অন্য এক ধারায় সাত আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং তিন হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

সব দণ্ড একইসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেছেন বলে জানান ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক।

মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি জানান, ২০০৮ সালের ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় রোজিপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী কুমরঘাটা বাজারে যান মশিয়াহাটী ডিগ্রি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সঞ্জয় হালদার।বাজার থেকে রাত ১০টার দিকে বাড়ির ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা সঞ্জয় হালদারের ওপর বোমা হামলা চালায়। বোমার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত সঞ্জয়কে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে সঞ্জয় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ১৭ মার্চ সঞ্জয়ের স্ত্রী বেহুলা হালদার বাদী হয়ে সাত জনকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মণিরামপুর থানার ওসি এস এম আলী আজম সিদ্দিকী ২০০৮ সালের ২৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলাটি খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।