সোমবার সিলেটের প্রথম মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক শাহেদুল করিম এই আদেশ দেন বলে পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) আবদুল আহাদ জানান।
তিন আসামি হলেন- সদর উপজেলার শেখপাড়ার কামরুল ইসলাম, তার ভাই শামীম আহমদ ও একই এলাকার পাভেল আহমদ।
গত সোমবার এ আদালতই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী দিন রাখা হয়েছে বলে আবদুল আহাদ জানান।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে খুঁটিতে বেঁধে ১৩ বছরের শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীরাই নির্যাতনের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিলে তোলপাড় হয় সারাদেশ।
সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার গত ১৬ অগাস্ট ১৩ জনকে আসামি করে এ মামলার অভিযোগপত্র দেন।
অভিযোগপত্রে রাজন হত্যার পর সৌদি আরবে পালিয়ে যাওয়া কামরুল, তার ভাই শামীম এবং পাভেলকে পলাতক দেখানো হয়।
আদালত ২৪ অগাস্ট অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতকদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করে। পরদিন কামরুল ও শামীমের মালামাল বাজেয়াপ্ত করে জালালাবাদ থানা পুলিশ।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কামরুলের ভাই আলী হায়দার, মুহিত আলম, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী।
হত্যাকাণ্ডের পর মুহিত আলমের স্ত্রী লিপি বেগম ও শ্যালক ইসমাইল হোসেন আবলুছকে গ্রেপ্তার করা হলেও অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।