নিহত খলিল (৩০) বনদস্যু ‘মনির বাহিনীর’ দ্বিতীয় প্রধান ছিলেন বলে র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল আলম দাবি করেছেন।
সোমবার ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দরজার খালে ‘দস্যুদের’ সঙ্গে গোলাগুলির পর ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
র্যাব বলছে, উদ্ধার অস্ত্র ও মালামালের মধ্যে চারটি দোনলা বন্দুক, একটি একনলা বন্দুক, তিনটি কাটা রাইফেল, তিনটি এলজি, একটি এয়ারগান, বিভিন্ন ধরনের গুলি, ধারালো অস্ত্র, মোবাইল ফোন, মুক্তিপণ ও চাঁদা আদায়ের টোকেনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রয়েছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল জানান, দরজার খাল এলাকায় ‘মনির বাহিনীর’ অবস্থানের খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
“খালে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে দস্যুরা র্যাবের দলকে লক্ষ্য করে গুলি করলে পাল্টা গুলি চালানো হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা গোলাগুলির পর দস্যুরা বনের ভেতরে পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে একজনের মৃতদেহ এবং অস্ত্র ও মালামাল পাওয়া যায়।”
পরে স্থানীয় জেলেরা নিহত ব্যক্তিকে মনির বাহিনীর দ্বিতীয় প্রধান খলিল হিসেবে সনাক্ত করেন বলে র্যাবের ভাষ্য।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল জানান, খলিলের লাশ, উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও মালামাল শরণখোলা থানায় নেওয়া হয়েছে।