পর্যটন শিল্পের বিকাশে ‘বৌদ্ধ সম্মেলন’

বাংলাদেশের বৌদ্ধ ধর্মের ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শনগুলোকে (বু্ড্ডিস্ট হেরিটেজ) বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরে বৌদ্ধ পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ঢাকায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন করবে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2015, 05:42 PM
Updated : 30 August 2015, 05:42 PM

জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিউটিও) সহায়তায় আগামী ২৭ ও ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বুড্ডিস্ট সম্মেলনের’ আয়োজন করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

রোববার সচিবালয়ে বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বুড্ডিস্ট হেরিটেজগুলো রক্ষণাবেক্ষণ এবং দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের হেরিটেজগুলোকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা হবে। সম্মেলনের ফলে আন্তর্জাতিক বুড্ডিস্ট সার্কিটের মহাসড়কের সঙ্গে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।”

এ সম্মেলনের মাধ্যমে বৌদ্ধ পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে আগ্রহ সৃষ্টি হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন মন্ত্রী।

সম্মেলনে ইউএনডব্লিউটিও’র মহাসচিব তালিব রাফা ছাড়াও চীন, জাপান, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, ভুটান, নেপাল, ভারত ও শ্রীলঙ্কার পর্যটনমন্ত্রী, উর্ধ্বতন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে জানানো হয়েছে।

‘বুড্ডিস্ট সম্মেলনের’ প্রাক-প্রস্তুতি হিসাবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড একটি জাতীয় কর্মশালার আয়োজন করবে বলেও জানান মন্ত্রী।

রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ও কর্মপরিকল্পনার অভাবে বাংলাদেশের পর্যটন খাত খুব একটা এগুতে পারেনি  স্বীকার করেন মেনন বলেন, “সম্রাট অশোকের শাসনামলে বৌদ্ধরা এই ভূখণ্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। পাল শাসনামলে এবং তার পরে এই অঞ্চলে বহু বৌদ্ধ মন্দির, স্টুপা, বৌদ্ধ ধর্মাশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।”

এর মধ্যে মহাস্থানগড়ের বসু বিহার, রাজশাহীর সোমপুর বিহার, কুমিল্লার শালবন বিহার, চট্টগ্রামের পন্ডিত বিহার, ঢাকার বিক্রমশিলা বিহার উল্লেখযোগ্য।