ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছে, “হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেউ না। একদল শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে কিছু শিক্ষার্থী ওই হামলা চালিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।”
আক্রান্ত শিক্ষকরা বলছেন, ছাত্রলীগের ওই নেতা-কর্মীদের উপাচার্যের পক্ষ নিয়ে তাদের উপর চড়াও হয়েছিলেন। এর জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়া দাবি করেছেন, ওই ছাত্রদের তিনি ডাকেননি। তারা ‘শিক্ষার পরিবেশ’ রক্ষায় এসেছিলেন।
সিলেটে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন সরকার সমর্থক শিক্ষকদের একাংশ। উপাচার্য রোববার একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডাকলে তাকে প্রতিরোধে শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিলে তাদের উপর চড়াও হয় একদল ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী।
এনিয়ে দিনভর নিন্দা-প্রতিবাদের মধ্যে রোববার রাতে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাকির বলেন, ঘটনাটি ‘ন্যক্কারজনক’।
“যেহেতু এ ধরনের একটি অভিযোগ (ছাত্রলীগের জড়িত থাকা) শোনা যাচ্ছে, তাই আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের দাবি, কিছু শিক্ষার্থী শিক্ষকদের একটি পক্ষের হয়ে ‘গণ্ডগোল’ করেছে।
আক্রান্ত শিক্ষকদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হামলাকারীদের ‘ভিসির পেটোয়া বাহিনী’ উল্লেখ করার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
এর আগে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগও ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় সংগঠনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ বলেন, “হামলার ঘটনাটি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নয়।
“ছাত্রলীগের কেউ এই ঘটনায় জড়িত আছে কি না সে বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শিক্ষকদের উপর হামলার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জীবন ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানকে হাত বিশেক দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে সঞ্জীবন বলেন, “সকালে ভিসি ভবনের সামনে ছাত্ররা জমায়েত হলে আন্দোলনরত শিক্ষকরা আমাদের ডেকেছেন বলে আমি ও সাধারণ সম্পাদক সেখানে গিয়েছিলাম।”
ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবু সাঈদ, সহ সভাপতি অঞ্জন রায় ও সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সবুজ হামলায় অংশ নিতে দেখা যায়। তাদের সঙ্গে ছিলেন আরো কয়েকজন কর্মী।
সে বিষয়ে সঞ্জীবন বলেন, “বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখব।”