বর্তমানে প্রতিমন্ত্রী মর্যাদায় বেসরকারিকরণ কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা ওয়াহিদুজ্জামানের মুক্তিযোদ্ধার সনদ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) বৈঠকে বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক রোববার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের সুপারিশে তিন সচিবের মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হলেও ওয়াহিদুজ্জামানের মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট স্থগিত করা হয়েছিল।
“পরে তিনি (ওয়াহিদুজ্জামান) সনদ স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন। জামুকার বৈঠকে আপিল নিয়ে আলোচনা হয়েছে, বোর্ড তার আপিল গ্রহণ করেনি।”
সনদ বাতিলের গেজেট এখনও হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “শিগগিরই গেজেট জারি করা হবে।”
সনদ বাতিলের এই সিদ্ধান্ত মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামানকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বাস্থ্য সচিব এম নিয়াজ উদ্দিন মিয়া, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন সচিব এ কে এম আমির হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী (বর্তমানে ওএসডি) এবং একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (ওএসডি) আবুল কাসেম তালুকদারের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
চার সচিবের গেজেট বাতিল করে মোজাম্মেল হক ওইদিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “তিনি (মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান) মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেওয়ার জন্য পাঁচটি ধাপের চারটিই শেষ করেছেন। যে ধাপটি শেষ করেননি ওই অপরাধ তার নয়।”
মন্ত্রী বলেন, “অতি উৎসাহী কর্মকর্তারা শেষ ধাপ না মেনে তার গেজেট প্রকাশ করেন, যা এনএসআইয়ের তদন্তেও বেরিয়ে এসেছে। তাই তার সনদ বাতিল না করে স্থগিত করা হয়েছে।”
সরকারের এই পাঁচ কর্মকর্তা ‘অবৈধ প্রক্রিয়ায়’ মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেন বলে তদন্তে বেরিয়ে এলে তা বাতিলের সুপারিশ করে দুদক। ওই সুপারিশের পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামুকার বৈঠকে সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।