রাবির জিয়া হলে ছাত্রলীগ-শিবিরে মারামারি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলে ছাত্রলীগকর্মীদের সঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরকর্মীদের মারামারিতে ভাংচুর হয়েছে একটি কক্ষ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2015, 01:54 PM
Updated : 30 August 2015, 03:44 PM

রোববার ভোরে এই মারামারির পর শিবিরের তিন কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছেন মতিহার থানার ওসি অশোক চৌহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

হলের শিক্ষার্থীরা জানায়, গভীর রাতে শিবিরের কয়েকজনকে পেটানোর পর দুই সংগঠনের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। তখন একটি কক্ষ ভাংচুর হয়। খবর পেয়ে পুলিশ হলে ঢোকে।

ওসি অশোক চৌহান বলেন, “রাতে হলে শিবির ও ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। একটি কক্ষে সামান্য ভাংচুর হয়েছে। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি।”

আটক শিবিরকর্মীরা হলেন- অর্থনীতি বিভাগের তানজির আহমদ, পরিসংখ্যান বিভাগের আপন এবং আরবী বিভাগের এনায়েত। তারা সবাই তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

তাদের কাছ থেকে সংগঠনের কিছু বই-পত্র জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অনীল চন্দ্র দেব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাতে কিছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। এখন হলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক।”

কয়েকজন শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিবির নেতা আবদুস সালাম কর্মীদের নিয়ে হলের ২২৬ নম্বর কক্ষে জড়ো হয়েছেন খবর পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান, গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম শাওন, ওই হলের ছাত্রলীগকর্মী ইমাম মেহেদীসহ কয়েকজন নেতাকর্মী সেখানে যান। এ সময় শিবির নেতা সালাম পালিয়ে যান।

আটক এক শিবিরকর্মী

“পরে ছাত্রলীগকর্মীরা শিবিরকর্মীদের ধরতে হলের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি শুরু করে। তারা হলের ২২৪, ২২৬ ও ২০১ নম্বর কক্ষ থেকে তানজির, আপন ও আশিককে আটক করে মারধর করেন,” বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র।

তিনি বলেন, এক পর্যায়ে আশিক পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ এলে তানজির ও আপনকে তাদের হাতে তুলে দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে পুলিশ হলে তল্লাশি চালানোর সময় এনায়েতকে আটক করে।

ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান বলেন, “শিবির নেতা সালাম ফোনে হলের ছাত্রলীগকর্মীদের মারধরের হুমকি দিয়েছিলেন। তাই তাকে ধরতে ২২৬ নম্বর কক্ষে গিয়েছিলাম।

“তখন শিবিরকর্মীরা আমাদের উপর হামলার চেষ্টা করে। আমাদের কর্মী নাহিদকে রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। পরে আমরা দুই শিবিরকর্মীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছি।”