ঢাকায় ভারতের ভিসা আবেদন কেন্দ্র এক বিবৃতিতে সেপ্টেম্বর থেকে এমআরপি ছাড়া অন্য পাসপোর্ট গ্রহণ না করার কথা জানিয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের নীতিমালা অনুসরণ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বহু মানুষ প্রতিবেশী দেশ ভারতে যায়, এর একটি বড় অংশের যায় চিকিৎসার জন্য।
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৯ লাখ ৪২ হাজার ৫৬২ জন ভারতে গিয়েছিলেন। আগের বছর গিয়েছিলেন ৫ লাখ ২৪ হাজার ৯২৩ জন।
আইসিএওর বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হয়ে আসায় আগামী ২৪ নভেম্বরের পর আর হাতেলেখা পাসপোর্ট চলবে না বলে বাংলাদেশ সরকারও জানিয়ে দিয়েছে।
আইসিএওর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৫ নভেম্বরের পর পৃথিবীর কোনো দেশেই আর হাতেলেখা পাসপোর্ট গ্রহণ করা হবে না।
ওই সিদ্ধান্তের কারণে ২০১০ সালের ১ এপ্রিল বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এমআরপি তৈরি ও বিতরণ প্রকল্পের কাজ শুরু করে।
হাতে লেখা পোসপোর্টের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে প্রবাসীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, সেজন্য নভেম্বরের আগেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত ৯১ লাখ বাংলাদেশিদের হাতে এমআরপি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছে সরকার।